ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রোটিয়া বধে মাতলো আইরিশরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৮, ১৪ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১১:৫০, ১৪ জুলাই ২০২১

সেঞ্চুরির পথে অ্যান্ডি বালবির্নির একটি কাট শট

সেঞ্চুরির পথে অ্যান্ডি বালবির্নির একটি কাট শট

ক্রিকেট আসলেই গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। যেখানে নিত্যই রচিত হয় নতুন নতুন কাব্য-গল্প। এই গল্পে কখনও বিজয়ের উদযাপনে মেতে ওঠে ছোট দলগুলোও! ঠিক এমনটাই হয়েছে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই)। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ জয় করে আয়ারল্যান্ডে পাড়ি দেয়া পূর্ণ শক্তির দক্ষিণ আফ্রিকা বিধ্বস্ত হয়েছে বালবির্নি তাণ্ডবে।

আইরিশ ভূমিতে অতিথি হয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা হেসেছিলো টস ভাগ্যে। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাগতিকদের জানিয়েছিলো ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ। সফরকারীদের আমন্ত্রণে পল স্টার্লিংকে সাথে নিয়ে ওপেনিংয়ে নামা আইরিশ কাপ্তান বালবির্নি দলকে এনে দিয়েছিলেন সাবধানী সূচনা। 

দলীয় ৬৪ রানের মাথায় স্টার্লিং আউট হলেও বালবির্নি ছিলেন নিজ গতিতেই। রাবাদা, নর্টজে, শামসীদের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৩০ বছর বয়সী আইরিশ কাপ্তান মেতেছিলেন সেঞ্চুরির উদযাপনে (১০২)। তার ১১৭ বলের এই ইনিংসে ছিল ১০টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কার মার। পিছিয়ে ছিলেন না হ্যারি টেক্টরও! ছয়টি চার ও ৪টি ছক্কায় খেলেছেন ৭৯ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। 

বালবির্নি-টেক্টরকে দেখে যেন শক্তি পেয়েছিলেন ডকরেলও! শেষ দিকে মাত্র ২৩ বলে ৪৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসটি তো সেটাই বলে। বালবির্নির সেঞ্চুরির সঙ্গে টেক্টর-ডকরেলের ব্যাটিং ঝড়ে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রানের পুঁজি পায় আইরিশরা। 

প্রোটিয়া বোলারদের মধ্যে এদিন ২টি উইকেট নিয়ে সফল বোলার ছিলেন অ্যান্ডিলে ফেহলুকায়ো, তবে ১০ ওভারে তিনি রান দেন সর্বোচ্চ ৭৩টি। অন্যদের মধ্যে রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও তাবরেজ শামসি যথাক্রমে ৫৮, ৫০ ও ৪২ রান দিয়ে ১টি করে উইকেট লাভ করেন। ৬৪ রান দিয়েও উইকেটহীন থাকেন অ্যানরিখ নর্টজে।

যাইহোক, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো লড়াকু আর শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ২৯০ রান-ই যে জয়ের জন্য যথেষ্ট, সেটি অবশ্য বলাটা কঠিনই ছিলো বটে। কেননা বাভুমার নেতৃত্বে আইরিশে পা রাখা দক্ষিণ আফ্রিকা যে তাদের পূর্ণ শক্তি নিয়েই গেছে, তাও অস্ট্রেলিয়ার দর্প চূর্ণ করা উইন্ডিজকে হারিয়ে। নিয়মিত ওপেনার ডি কক না থাকলেও ছিলেন প্রায় সব তারকা ক্রিকেটাররাই। 

তবে আইরিশদের দেয়া ওই লক্ষ্যে ক্রিজে আসা জানেমান মালান ও এইডেন মার্করাম দলকে শুরুটা এনে দিতে পারেননি চাহিদা মতো। মার্করামের (৫) হতাশার দিনে হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছেন কাপ্তান বাভুমাও (১০)! যদিও তৃতীয় উইকেট জুটিতে আশার আলো জ্বালিয়ে পথ দেখিয়েছেন রাসি ফন ডার ডুসেন ও ওপেনার মালান।

এই জুটিতে ১০৮ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঠিকই জয়ের আশা দেখাচ্ছিলেন মালান ও ডুসেন। কিন্তু সেই আশার তরী ডুবিয়ে দেন ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা ডকরেল। তাইতো মালানকে ফিরতে হয়েছে তীরে এসে তরী ডুবিয়েই, সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে থেকেই। এরপর ম্যাকব্রাইন হানেন সবচেয়ে বড় আঘাত, ফিরিয়ে দেন ৪৯ রান করা ডুসেনকে। 

এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। জশ লিটল, ম্যাকব্রাইন, আডাইরদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পুরো ওভারই খেলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, শেষ হয়ে গেছে ২৪৭ রানেই। এর ফলে ৪৩ রানের জয় নিয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো আইরিশরা। ম্যাচ সেরা হন অ্যান্ডি বালবির্নি।

প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় ১৬ জুলাইয়ের তৃতীয় ম্যাচটি তাই পরিণত হয়েছে অলিখিত ফাইনালে। যেখানে আফ্রিকার পরাজয় হলে আইরিশরা মাতবে সিরিজ জয়ের আনন্দে!

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি