ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৪, ২০ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ২২:১২, ২০ জুলাই ২০২১

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের সামনে ছিল ২৯৮ রানের বিশাল পাহাড়। সেই পাহাড়কে টপকে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে তাদেরই মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। ৫ উইকেটে জিতেছে  লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে হারানোর এক যুগ পর আবারও বিদেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব দেখাল তারা। ২৯৯ রানের বড় লক্ষ্য। প্রথমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর লিটন দাস দেখে শুনে খেললেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়িয়ে দেয় এই দুই যুগল।

ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিম ইকবালরা কতটা শক্তিশালী, তার প্রমাণ আরেকবার দিলো এবারের সিরিজে। আর এই উপলক্ষের কারিগর অধিনায়ক তামিম নিজেই। শেষ ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরিতেই তৈরি হয় জয়ের পথ। শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভর করে আফ্রিকার দলটিকে ওয়ানডেতে ষষ্ঠবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবালো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের লক্ষ্য মোটেও সহজ ছিল না। আগে ব্যাট করে ৪৯.৩ ওভারে স্বাগতিকরা স্কোরে জমা করেছিল ২৯৮ রান। সেই লক্ষ্যে তামিমের ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের পর জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন ৪৫ রানে অপরাজিত থাকা নুরুল ও ২৬ রানে অপরাজিত থাকা আফিফ হোসেন।

শুরুতেই লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। তার আগে ৮৮ রানের গড়ে ওঠে তামিমের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। মাদভেরের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ক্যাচ হন এই ওপেনার। ৩৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে করেন ৩২ রান।

তারপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৬৯ রানের আরেকটি জুটি তামিমের। সেই জুুটিটি ভেঙেছেন লুক জঙউই। জিম্বাবুইয়ান পেসারের স্লোয়ার এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ সাকিব। ৪২ বলে একটি করে চার-ছক্কায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান।

বিরতির আগে ৩৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ২০৪ রান ছিল বাংলাদেশের। ৯৬ বলে দরকার ৯৫। পানি পানের বিরতিতে যাওয়ার সময় সহজ জয়ের পথেই ছিল টাইগাররা। কিন্তু বিরতির পরই জোড়া আঘাত ডোনাল্ড তিরিপানোর। টানা দুই বলে সেঞ্চুরিয়ান তামিম আর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে লড়াইয়ে ফেরান ডানহাতি এই পেসার।

তামিম ইকবাল ৯৭ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় ১১২ রানের ঝড়ো ইনিংসে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হওয়ার পর প্রায় একইভাবে আউট হন মাহমুদউল্লাহ (০)। হ্যাটট্রিক বল খেলতে উইকেটে আসেন সিরিজে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান সোহান।

পঞ্চম উইকেটে মিঠুনের সঙ্গে গড়েন ৫৪ বলে ৬৪ রানের জুটি। যাতে মূল অবদান সোহানেরই (৩৯)। মিঠুন খেলেছেন ভীষণ ধীরগতিতে। একের পর এক শট খেলতে গিয়ে মিস করেছেন।

তবে এরপর আর দলকে কোনো বিপদে পড়তে দেননি সোহান-আফিফ। ৩৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছেড়েছেন তারা। সোহান ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৫ আর আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৭ বলে ৩ চার, এক ছক্কায় ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ৪৯.৩ ওভারে ২৯৮ (চাকাভা ৮৪, মারুমানি ৮, টেইলর ২৮, মায়ার্স ৩৪, মাধেভেরে ৩, রাজা ৫৭, বার্ল ৫৯, জঙ্গুয়ে ৪* টিরিপানো ০, চাতারা ১, মুজারাবানি ০; তাসকিন ১০-১-৪৮-১, সাইফ ৮-০-৮৭-৩, মুস্তাফিজ ৯.৩-০-৫৭-৩, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৪৫-২, সাকিব ১০-০-৪৬-১, মোসাদ্দেক ২-০-১৩-০)।

বাংলাদেশ: ৪৮ ওভারে ৩০২/৫ (লিটন ৩২, তামিম ১১২, সাকিব ৩০, মিঠুন ০, মাহমুদউল্লাহ ০, সোহান ৪৫*, আফিফ ২৬*; মুজরাবানি ৮-০-৪৩-০, চাতারা ৮-০-৫৬-০, জঙ্গুয়ে ৭-০-৪৪-১, টিরিপানো ৭-০-৬১-২, মাধেভেরে ১০-০-৪৫-২, রাজা ৫-০-২৩-০, বার্ল ৩-০-২৩-০)।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি