অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর দারুণ সুযোগ
প্রকাশিত : ১০:৪৩, ৩ আগস্ট ২০২১
জিম্বাবুয়ের মাটিতে টি-টুয়েন্টি সিরিজ জেতার পর দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয়ের ভালো সুযোগ দেখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ দেখাতে চায়- এই ফরম্যাটে তারা দুর্বল দল নয়।
স্থির মানসিকতা এবং সামর্থ্যের উপর আস্থা রেখে খেলা দরকার উল্লেখ করে মাহমুদুল্লাহ জানান, যেকোন ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মত হারানোর ভালো সুযোগ দাঁড়িয়েছে বলে তার বিশ্বাস।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘কারো উপর আধিপত্য বিস্তার করার চেয়ে এখানে আত্মবিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা পুরো আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতে পারি এবং ছন্দে থাকতে পারি, তবে এটি আমাদের জন্য কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বাগতিক হওয়ায় নিজেদের উপর চাপ সৃষ্টি করি, তবে এটি কাজে আসবে না।’
বড় তারকাদের ছাড়াই সিরিজ খেলতে নামছে অস্ট্রেলিয়া। সদ্য শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার-স্টিভেন স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
শীর্ষস্থানীয়দের অনুপস্থিতি ভুগিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-১ ব্যবধানে হারলেও, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে অসিরা।
যাই হোক, অভিজ্ঞতা ও পারফরমেন্সের কারনে সিরিজে স্পষ্টভাবে এগিয়ে বাংলাদেশ। কিন্তু ফেভারিটের তকমা নিতে রাজি নন মাহমুদুল্লাহ। তিনি জানান, নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলাই গুরুত্বপূর্ণ।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘টি-টুয়েন্টি এমন একটি খেলা যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট দিনে যে কাউকেই হারাতে পারেন, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয় যে, কে সেরা বা না। এটি সত্য যে তাদের বেশ কিছু সেরা তারকা সফরে আসেনি। একই সাথে আমরাও তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাসের মতো সেরা খেলোয়াড়দের পাচ্ছি না। একটি দল হিসেবে এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর জন্য একটি দারুন সুযোগ। আমি বিশ্বাস করি, আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল এবং এটি প্রমাণ করার চেষ্টা করবো।’
এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। সবগুলোতে জয় পেয়েছে অসিরা। সবগুলো ম্যাচেই বিশ্বকাপের মঞ্চে হয়েছিলো। এবার হারের বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ বলে প্রত্যাশাও অনেক বেশি।
মাহমুদুল্লাহ জানান, পরিকল্পনা ভালোভাবে কাজে লাগানোই গুরুত্বপুর্ণ কাজ হবে। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর জন্য এটিই সেরা সুযোগ কি-না তার ভবিষ্যদ্বাণী করা খুবই কঠিন। তারা খুবই শক্তিশালী দল এবং ভালো ক্রিকেট খেলছে। তবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, দুর্দান্ত একটি সিরিজ হতে চলেছে। আমরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুন ক্রিকেট খেলেছি, যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের আগে আমাদের সাহস দিচ্ছে। এখন আমরা ভালো ক্রিকেট খেলার অপেক্ষায় রয়েছি।’
লোয়ার-অর্ডারে শামীম পাটোয়ারির মত হার্ড-হিটার পেয়েছে বাংলাদেশ, এমনটাই তাদের প্রত্যাশা ছিলো। একই সাথে নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেনের মত খেলোয়াড় ফিনিশার হিসেবে পেয়েছে টাইগাররা।
মাহমুদুল্লাহ বিশ্বাস করেন, এই তরুণ খেলোয়াড়রা সিরিজে গতিপথ পরিবর্তন করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন এবং আফিফ খেলা শেষ করার সামর্থ্য রাখে। তারা ভালো ছন্দে আছে। আমি পুরোপুরি তাদের উপর নির্ভর করছি। আমি আশা করি, এই তিনজন এই সিরিজেও তাদের প্রতিভা দেখাবে।’
ত্রয়ীর কারণে টপ অর্ডারে ব্যাট করার সুযোগ তৈরি হয়েছে মাহমুদুল্লাহর। আগে বাংলাদেশের ফিনিশারের অভাব থাকায়, লোয়ার-অর্ডারে ব্যাট করতেন মাহমুদুল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টি-টুয়েন্টি দল এখন অনেক বেশি ভারসাম্যপপূর্ণ। আমরা যদি দেখি, তবে আমাদের দলে জেনুইন ৫-৬ জন অলরাউন্ডার রয়েছে। আমাদের ভালো পেস অ্যাটাক রয়েছে। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন, শরিফুল, রুবেল হোসেনের সাথে আছেন সাইফ উদ্দিন। এছাড়া আমাদের ভালো ও বিশ্বমানের স্পিনার রয়েছে।
এসএ/