১২২ রানের লক্ষ্যে মাঠে বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ১৯:৫০, ৪ আগস্ট ২০২১
সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে কম রানে আটকে রেখেছে বাংলাদেশের বোলাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২১ রান। নিঃসন্দেহে বোলাররা তাদের দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার যে স্কোর, তা মোটেও অনতিক্রম্য নয়। তাই দলকে সিরিজে এগিয়ে নেবার দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্যাটসম্যানদের। গতকাল প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং মোটেও সুবিধার ছিল না। জয় এসেছিল বোলারদের সৌজন্যে। আজকের ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের নিজেদের প্রমাণের পালা।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় অস্ট্রেলিয়া। মেহেদী হাসানকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে তিনি দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে আসেন প্রথম ম্যাচের নায়ক নাসুম আহমেদ। ওভারে দুটি বাউন্ডারি হজম করাসহ তিনি দিয়েছেন ১২ রান। পরের ওভারে এসেই তৃতীয় বলে অ্যালেক্স ক্যারিকে (১১) তুলে নাসুম আহমেদের তালুবন্দি করেন মেহেদী। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। নাসুমের করা পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে ফিলিপের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন নাকচ করেন আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নিয়েও ব্যর্থ হয়। কারণ বল ফিলিপের পায়ে লাগার আগে ব্যাট ছুঁয়েছিল।
ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। চতুর্থ বলে সরাসরি বোল্ড করে দেন ১৪ বলে ১ চারে ১০ রান করা জস ফিলিপেকে। মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারটি ছিল লেগস্টাম্পের বাইরে। বলটার লাইন না বুঝেই ব্যাট চালিয়েছিলেন ফিলিপে। যা ঘটার তাই ঘটে। স্টাম্প উপড়ে যায়। ৩১ রানে অজিদের দ্বিতীয় উইকেট পতন। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর হেনরিক্স আর মার্শের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। ৫২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন এই দুজন। অবশেষে ২৫ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩০ রান করা হেনরিক্সকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব। বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারকে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করায় বোল্ড হন হেনরিক্স।
অন্যপ্রান্তে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন মিচেল মার্শ। ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৪৫ করে ফেলা মার্শকে থামানো জরুরি ছিল। সেই দায়িত্বটি পালন করে দিলেন শরীফুল ইসলাম। তার বলটি মার্শের ব্যাট ছুঁয়ে কিপার সোহানের গ্লাভসে জমা হয়। এরপর শুরু আসা-যাওয়ার খেলা। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে (৪) বোল্ড করে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন মুস্তাফিজ। ১০৩ রানে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরের বলেই কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়েন অ্যাস্টন আগার (০)। মুস্তাফিজের হ্যাটট্রিক করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তবে বলটি ওয়াইড হয়ে যায়। পঞ্চম বলে কোনো রান আসেনি। টার্নারকে (৩) ফেরান শরীফুল। নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১২১ রান।
আরকে//