অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩১ রান
প্রকাশিত : ২০:৩৮, ৩ আগস্ট ২০২১
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩১ রান করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ককে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারেন ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ওভারের পরের চার বল ডট দেন স্টার্ক।
এরপর পরের দুই ওভার থেকে ৯ রান তুলতে পারেন নাইম ও তার সঙ্গী সৌম্য সরকার। সতর্কতার সাথে খেলা সৌম্য চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজেলউডের বলে ফিরেন। ৯ বলে মাত্র ২ রান করেন জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টুয়েন্টি সিরিজের সেরা খেলোয়াড় সৌম্য।
বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকা নাইমও বেশি দূর যেতে পারেননি। দলীয় ৩৭ রানে নাইমকে শিকার করেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ-স্পিনার এডাম জাম্পা। ২৯ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩০ রান করেন জাম্পা।
এরপর দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেন তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান ও চার নম্বরে নামা অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন তারা। তবে জুটিকে বড় স্কোর গড়তে দেননি হ্যাজেলউড। লং-অফে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ১টি ছক্কায় ২০ বলে ২০ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ৩২ বলে ৩৬ রানের জুটি ছিলো সাকিব-মাহমুদুল্লাহর।
মাহমুদুল্লাহ আউট হলে উইকেটে সাকিবের সঙ্গী হন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। ৪ বলে ৩ রান করে থামেন তিনি। এতে ১৫তম ওভারে ৮৬ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংকে নিয়ে যান সাকিব। তবে দলীয় ১০৪ রানে আউট হন সাকিব। হ্যাজেলউডের তৃতীয় শিকার হন তিনি। ৩৩ বলে ৩টি চারে ৩৬ রান করেন সাকিব।
সাকিব যখন বিদায় নেন তখন ইনিংসের ১৮ বল বাকী ছিলো। দুই তরুণ আফিফ ও শামিম হোসেন ফিনিংশটা কিভাবে করেন, সেটিই দেখার ছিলো। ১৮তম ওভারে আফিফের বাউন্ডারির সহায়তায় ১০ রান উঠে। কিন্তু ঐ ওভারের শেষ বলে স্টার্কের ট্রেডমার্ক ইয়র্কারে ব্যক্তিগত ৪ রানে বোল্ড হন শামিম।
টাইয়ের করা ১৯তম ওভারে ৬ রান পায় বাংলাদেশ। আর স্টার্কের করা শেষ ওভারে আফিফের ১টি বাউন্ডারির কল্যাণে ১১ রান পায় বাংলাদেশ। শেষ বলে বোল্ড হন আফিফ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ১৭ বলে ৩টি চারে ২৩ রান করেন আফিফ। ৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাহেদি হাসান। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজেলউড ৩টি ও স্টার্ক ২টি উইকেট নেন।
এসি