শরিফুল-আফিফের পর নাসুমের আঘাত
প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৭:৫৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
দুর্দান্ত সব শট খেলে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে নিউজিল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্র। মারকুটে ব্যাটিংয়ে মাত্র ৫.১ ওভারেই দলীয় ফিফটিও পেয়ে যায় কিউইরা। তবে ষষ্ঠ ওভারে এসে পরপর দুই বলে এই দুই ওপেনারকে তুলে নিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফেরান পেসার শরিফুল।
পরে আফিফ হোসাইন এসে সাজঘরে ফেরান এক চারে ছয় রান করা উইল ইয়ংকে। যাতে ষষ্ঠ ওভারে ৫৮ রানে দুই উইকেট হারানো সফরকারীদের স্কোর দাঁড়ায় ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৭১। আর ৯ রান করা কলিন ডি গ্রান্ডহোমকে ফিরিয়ে সিরিজে ৯ম উইকেট শিকার করেন নাসুম আহমেদ।
৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের স্কোর ১১ ওভার শেষে ৮৫। অধিনায়ক টম ল্যাথাম ১১ রানে এবং হেনরি নিকোলস ১ রানে ক্রিজে আছেন।
এর আগে রান বন্যার পর অবশেষে প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। রাচিন রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক উদ্বোধনী জুটিকে ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। রবীন্দ্র পুল শট খেলেন, তবে বলটি একটু লাফিয়ে ওঠায় টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল যায় মিড অফে। মুশফিকুর রহিম সামনে এগিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মুঠোবন্দী করেন বলটি। ফলে রবীন্দ্র আউট হন ১২ বলে ১৭ রান করে।
পরের বলে রিভিউয়ে টিকে যান ফিন অ্যালেন। তবে এরপরের বলে আর বাঁচতে পারেননি মারকুটে এই ওপেনার। সরাসরি বোল্ড করে দেন শরিফুল ইসলাম। আগের বলে শাফ করে ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও একই চেষ্টা করেন অ্যালেন। যথারীতি এবারও টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। বল তার প্যাড ছুঁয়ে ছোবল দেয় স্টাম্পে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন শরিফুল, অ্যালেনের ঝড় তার ওপর দিয়েই যে বয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি!
পাওয়ার প্লের শেষ বলে অ্যালেন ফিরলেন ২৪ বলে ৪১ রান করে। ৫৮ রানেই দুই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। আর ৬ রান করা উইল ইয়ংকে সোহানের গ্লাভসবন্দি করে ফেরান আফিফ। যাতে ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট খোয়ায় সফরকারীরা।
এর আগে সদ্য প্রয়াত আম্পায়ার নাদির শাহর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে খেলা শুরুর আগে মাঠে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দুই দল। ক্রিকেটার ও ম্যাচ অফিসিয়ালরাও মাঠে নামেন হাতে কালো ফিতা বেঁধে।
ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে প্রায় দুই বছর লড়াই করে শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে মারা যান সাবেক ক্রিকেটার ও আইসিসির সাবেক প্যানেল আম্পায়ার নাদির শাহ। খেলোয়াড়ী জীবনে নাদির শাহ ছিলেন লেগ স্পিনার। সঙ্গে ব্যাটিংটাও ভালো করতেন। ঢাকা লিগে দুই দশকের বেশি সময় খেলেছেন আবাহনী, মোহামেডান, বিমান, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সূর্যতরুণ, আজাদ বয়েজ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান ক্লাবের হয়ে।
পরে আম্পায়ারিং শুরু করে একসময় হয়ে ওঠেন দেশের এক নম্বর আম্পায়ার। ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করে ২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় তার।
সব মিলিয়ে ৪০টি ওয়ানডে ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ তিনি পরিচালনা করেন মাঠে দাঁড়িয়ে। টিভি আম্পায়ার হিসেবেও কাজ করেন ৬ টেস্ট ও ২৩ ওয়ানডেতে। এছাড়াও ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও ১২৭টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।
শেষবার তাকে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে দেখা গেছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে, মিরপুরে জাতীয় লিগের ম্যাচে। এরপর থেকে অসুস্থতার কারণে মাঠে আর সেভাবে দেখা যায়নি তাকে।
এনএস//