১৮ বছর ধরে যৌন নিগ্রহের শিকার নারী জিমন্যাস্ট
প্রকাশিত : ১৯:২৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৯:৩০, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
সিমোনে বাইলস
মানসিক অসুস্থতার কারণে নাম তুলে নিয়েছিলেন টোকিও অলিম্পিকের বেশির ভাগ ইভেন্ট থেকেই। এখনও সেই যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না সিমোনে বাইলস। সবার সামনে ফের কেঁদে ভাসালেন বিশ্বের সেরা এই মার্কিন জিমন্যাস্ট।
তার অভিযোগ, আমেরিকার নারী জিমন্যাস্টিক্স দলের প্রাক্তন চিকিৎসক ল্যারি নাসার ধারাবাহিকভাবে যৌন নির্যাতন শিকার তিনি। ১৮ বছর ধরে নাকি ল্যারি নাসার আমেরিকার নারী জিমন্যাস্টদের ওপর যৌন নিগ্রহ করেছেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
আর সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষী দিতে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাইলস। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সতীর্থ অ্যালি রাইসম্যান, ম্যাকালা মারোনি এবং ম্যাগি নিকোলস।
চারবারের অলিম্পিকস চ্যাম্পিয়ন বাইলস মার্কিন সেনেটে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। সাক্ষী দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসান তিনি। বাইলস বলেন, আমেরিকার জিমন্যাস্টিকস সংস্থা, অলিম্পিকস এবং প্যারালিম্পিকস সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) নিজেদের ভূমিকা ঠিকমতো পালনই করেনি। আর তার জন্যই জিমন্যাস্টদের ওপর যৌন নির্যাতনের মাত্রাও বেড়েছে। বিশেষ করে এফবিআই-এর বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তারা চোখ বন্ধ করে ছিল।
সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে বাইলস বলেন, ‘ল্যারি নাসার তো অপরাধীই। ওকে যেমন আমি দোষ দিচ্ছি, একইভাবে দোষ দেব আমাদের গোটা সিস্টেমকেই। সিস্টেম ঠিক না হওয়ার কারণেই নাসার দিনের পর দিন এই খারাপ কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।’
বাইলস কেঁদে কেঁদে আরও বলেন, ‘আমাদের জিমন্যাস্টিকস সংস্থা এবং অলিম্পিকস, প্যারালিম্পিকস সংস্থা নিজেদের কাজটাই ঠিক মতো করেনি। এফবিআই তো চোখ বন্ধ করে বসে ছিল। তারাও নিজেদের দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করেনি। তা না হলে, এত দিন ধরে এই অপরাধ করে যেতে পারত না নাসার।’ সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।
এনএস//