বিকেলেই সাফ মিশনে নামছে বাংলাদেশ

আরেকটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। আরেকটি নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষা। তবে এবারও একই আশা জামাল-জিকোদের। এবারের সাফের শুরুটা হচ্ছে তুলনামূলক কম শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। শুক্রবার (১ অক্টোবর) উদ্বোধনী দিনটা তাই অস্কার ব্রজনের শিষ্যরা নিশ্চয়ই নিজেদের করে নিবেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২১ ফুটবল টুর্নামেন্টের এবারের আসর বসছে মালদ্বীপে। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মিশন শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।

সাফ চ্যাম্পিয়ন্সশিপ ফুটবলে দীর্ঘ এক যুগ ধরে শিরোপার স্বাদ বঞ্চিত বাংলাদেশ। গত চার আসরে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের গল্পটা আরও হতাশাজনক। গ্রুপ পর্বের গেরোই কাটাতে পারেনি! এবার সে সব গ্লানি মুছে ফেলে ফের শিরোপা ঘরে তোলার লক্ষ্য জামাল-জিকোদের।

আসরটি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। দেশ ছাড়ার আগে তিনি বলেছিলেন, ‘শেষ কয়েকদিন আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে চায়। যাতে টুর্নামেন্ট থেকে ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারি। এটা ভালো একটা গ্রুপ (খেলোয়াড়রা) এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে ফাইনালে যেতে চাই। আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী এবং আশা করি আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে কিছু সাফল্য নিয়ে আসতে পারব।’

সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত এবারের আসরে মোট পাঁচটি দল অংশ নিতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এবং স্বাগতিক মালদ্বীপ ছাড়াও রয়েছে ভারত, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কা। গ্রপপর্বে প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। প্রতিটি দল সবার সঙ্গেই একটি করে ম্যাচ খেলবে। রাউন্ড রবিন লিগ শেষে পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দলকে নিয়ে সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।

উদ্বোধনী দিনে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার পর ৪ তারিখে আসরের সফলতম দল ভারতকে মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ। ৭ অক্টোবর তৃতীয় ম্যাচে ডের দলের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। ১৩ তারিখে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে তারা লড়বে নেপালের বিপক্ষে। ২০০৩ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

এদিকে, জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের দু’জন খেলোয়াড়। ফলে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারছেন না তারা। তবে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি তাদের শরীরে।

জ্বরে আক্রান্ত দুজন হলেন- মিডফিল্ডার সোহেল রানা এবং ডিফেন্ডার রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ স্কোয়াড
গোলকিপার: আনিসুর রহমান জিকো, শহীদুল আলম ও আশরাফুল ইসলাম রানা।
ডিফেন্ডার: বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মন, তারিক কাজী, রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান রাফি, ইয়াসিন আরাফাত, রেজাউল করিম, টুটুল হোসেন বাদশা, মোহাম্মদ হৃদয়।
মিডফিল্ডার: আতিকুর রহমান ফাহাদ, সোহেল রানা, সাদ উদ্দীন, জামাল ভূঁইয়া, রাকিব হোসেন।
ফরোয়ার্ড: বিপলু আহমেদ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মতিন মিয়া, সুমন রেজা, জুয়েল রানা।

এনএস//