ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রথম ম্যাচেই ওমানের রেকর্ড গড়া ঐতিহাসিক জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১২, ১৭ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৯:৪৩, ১৭ অক্টোবর ২০২১

৪২ বলে ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পথে ওপেনার যতিন্দর

৪২ বলে ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার পথে ওপেনার যতিন্দর

বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূলমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে স্বাগতিক ওমান। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ কিছু করার চেষ্টায় মরিয়া ওমান ক্রিকেট দল। সেই লক্ষ্য পূরণের উপলক্ষ্য হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচেই নবাগত পাপুয়া নিউগিনিকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়ে ইতিহাস গড়েছে স্বাগতিকরা।

প্রথমে পাপুয়া নিউগিনিকে ১২৯ রানে আটকে দেয় জীশান মাকসুদের দল। পরে ১৩০ রানের লক্ষ্যকে মামুলী বানিয়ে কোনও উইকেট না হারিয়েই টপকে যায় ১৩.৪ ওভারেই। অর্থাৎ ৩৮ বল হাতে রেখেই ওমান ম্যাচ জিতে নেয় পুরো ১০ উইকেটে।

আসাদ ভালার বোলারদের কোনোরকম সুযোগ না দিয়েই খেলা শেষ করে দেন ওমানের দুই ওপেনারই। ফিফটি হাঁকান দুজনেই। দলের মূল ভরসা যতিন্দর সিংহ অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে। তাঁর ৪২ বলের এই ইনিংসে ছিল চারটি বিশাল ছক্কার সঙ্গে সাতটি চারের মার।

অন্যপ্রান্তে সই পঞ্চাশ করে অপরাজিত থাকেন আরেক ওপেনার আকিব ইলিয়াস। তাঁর ৪৩ বলের এই ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের সঙ্গে একটি বিশাল ছক্কার মার। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাত্র ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়া ওমান অধিনায়ক জীশান মাকসুদই।  

এর আগে রোববার (১৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ২টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে টস জিতে পাপুয়া নিউগিনিকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ওমান অধিনায়ক জীশান মাকসুদ। অধিনায়কের সেই সিদ্ধান্তকে সফল করতে শুরুতেই আঘাত হেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়েছেন ওমান পেসার বিলাল খান। তাকে অনুস্মরণ করে পরের ওভারেই উইকেট তুলে নেন আরেক বোলার কালিমুল্লাহ। 

যাতে শূন্য রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাপুয়া নিউগিনি। যদিও এরপর আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনি প্রতিরোধ গড়ে বড় স্কোরের ইঙ্গিত দেন। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পিএনজির লাগাম টেনে ধরে ১২৯ রানের বেশি তুলতে দেয়নি ওমান।

ম্যাচে নিজ দলের বিপর্যয় সামাল দিয়ে বিশ্বমঞ্চে ব্যক্তিগত প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে রেকর্ড বোর্ডে নামা লিখিয়েছেন পিএনজি অধিনায়ক আসাদ ভালা। চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে আসাদের ব্যাট থেকে আসে মূল্যবান ৫৬টি রান। তাঁর ৪৩ বলের এই ইনিংসে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার। 

তার আগে ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক জীশান মাকসুদকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৪০ বলেই আদায় করে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। যা এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ফিফটি হিসেবেই লেখা হয়ে থাকল।

সেইসঙ্গে চার নম্বরে নামা চার্লস আমিনির সঙ্গে গড়েন ৮১ রানের অতি মূল্যবান এক জুটি। যাতে আমিনির অবদান ছিল ৩৭ রান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হয়ে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম রান আউট হওয়া ব্যাটার হিসেবেই নাম লেখালেন বাঁহাতি এই তরুণ। একইসঙ্গে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম বাউন্ডারিটি হাঁকান আমিনি। 

অধিনায়ক আসাদ ভালা ও চার্লস আমিনির ব্যাটে প্রাথমিক ওই বিপর্যয় কাটিয়ে বড় লক্ষ্যেই ছুটছিল পাপুয়া নিউগিনি। তবে এই দুজনের আউটের সঙ্গেসঙ্গেই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে পিএনজির ব্যাটিং লাইন। একই ওভারে তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে দলটির ইনিংসে ধস নামান ওমান অধিনায়ক।

যাতে ১৬তম ওভারে ১১৩ রানেই ৭টি উইকেট হারিয়ে বসে পাপুয়া নিউগিনি এবং বোলারদের সুনিয়ন্ত্রিত বোলিং কারিশমায় বিশ্বকাপের নবাগত এই দলকে ১২৯ রানেই আটকে দেয় ওমান। অর্থাৎ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১২৯ রান জড় করতে সক্ষম হয় আসাদ ভালার দল।

ওমানের পক্ষে সফল বোলার হিসেবে ৪টি উইকেট শিকার করেন ওমান অধিনায়ক জীশান মাকসুদ। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ২০টি রান দেন এই স্পিনার। এছাড়া দুই পেসার বিলাল খান ও কালিমুল্লাহ তুলে নেন ২টি করে উইকেট, যথাক্রমে ১৬ ও ১৯ রান দিয়ে।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি