দুই হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত নেদারল্যান্ডস
প্রকাশিত : ১৮:০৯, ১৮ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৮:১১, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- চার বলে চার উইকেট, আইরিশ পেসারের ইতিহাস
- হতাশজনক হারের পর যা বললেন রিয়াদ
- ডেলিভারিম্যান থেকে বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক!
- বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মঙ্গলবার ওমানের মুখোমুখি বাংলাদেশ
- ২২৯ রানের লক্ষ্যে ছুটছে বাংলাদেশের যুবারা
- বিদ্বেষমূলক মন্তব্যে গ্রেফতার যুবরাজ সিং, পরে জামিন
- জয়ে ফিরল বার্সেলোনা
- স্কটল্যান্ড কোচের সেই মন্তব্যই সঠিক হল
- বিশ্বকাপে টাইগারদের করুণ পরাজয়
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রতি আসরেই দেখা মেলে রোমাঞ্চকর সব ঘটনার, হয়ে থাকে নানান রেকর্ড। ব্যতিক্রম হলো না এবারও। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক করার নজির গড়েন আয়ারল্যান্ডের ডানহাতি পেসার কার্টিস ক্যাম্পার।
শুধু হ্যাটট্রিক করেই থেমে থাকেননি আইরিশ পেসার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচের দশম ওভারে এসে পরপর চার বলে চার উইকেট নিয়ে গড়েছেন ইতিহাসও। বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিকসহ টানা চার বলে চার উইকেট নিলেন ২২ বছর বয়সী এই ডানহাতি পেসার।
যাতে ২ উইকেটে ৫১ রান তোলা নেদারল্যান্ডস দশম ওভারে ওই রানেই হারিয়ে বসে ৬টি উইকেট। ক্যাম্পার ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে কলিন অ্যাকারম্যানকে (১১) উইকেটকিপার রকের গ্লাভসবন্দী করার পরের দুই বলেই রায়ান টেন ডোয়েচকাট, স্কট এডওয়ার্ডসকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। আর পরের বলে ভ্যান ডার মারওয়েকে সরাসরি বোল্ড করে টানা চার বলে চারটি উইকেট তুলে নিয়ে রেকর্ড বুকে নাম লেখান।
এর মাধ্যমে ব্রেট লির পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব দেখান কার্টিস ক্যাম্পার। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন বিরল কীর্তি গড়েন অজি স্পিড স্টার।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে এর আগে ২০১৯ সালেই এরকম দুটি ঘটনার নজির উপভোগ করে ক্রিকেট বিশ্ব। যার একটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘটান আফগান স্পিনার রশিদ খান, আর অপরটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করে দেখান লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। এর মধ্যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে একবার করে চার বল চার উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা।
এদিকে, দশম ওভারে ক্যাম্পারের হ্যাটট্রিকের পর আরও একবার হ্যাটট্রিকের কবলে পড়ে ডাচরা। ঠিক দশ ওভারের মাথায় অর্থাৎ নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষটিতে গিয়েও টানা তিন বলে তিনটি উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।
তবে এবার আর কৃতিত্ব পাননি কোনো বোলার। এটাকে বলা যায় দলগত হ্যাটট্রিক। কারণ, ওই ওভারের শেষ তিন বলের চতুর্থ ২১ রান করা ডাচ অধিনায়ক পিটার সিলারকে ক্যাচ আউটের মাধ্যমে ফেরান আডায়ের। পঞ্চম বলে দুই রান দিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ১১ রান করা ভ্যান বীক। আর শেষ বলে গ্লোভারকে হ্যাটট্রিকম্যান ক্যাম্পারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান আইরিশ পেসার।
যাতে শেষ পর্যন্ত ১০৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায় কমলা শিবির। আইরিশ বোলিং তাণ্ডবের মধ্যে ফিফটি হাঁকিয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন ওপেনার ম্যাক্স ও'ডৌড। তাঁর ৪৭ বলের এই ইনিংসে ছিল ৭টি চারের মার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান করেন ডাচ অধিনায়ক পিটার সিলার।
আইরিশ বোলারদের মধ্যে ডাবল হ্যাটট্রিক করা (চার বলে চার উইকেট নেয়াকে ক্রিকেটের ভাষায় ডাবল হ্যাটট্রিক বলা হয়) কার্টিস ক্যাম্পার ২৬ রান দিয়ে ৪টি এবং মার্ক আডায়ের মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট দখল করেন।
এনএস//