‘ডাবল হ্যাটট্রিকে’ আয়ারল্যান্ডের সহজ জয়
প্রকাশিত : ১৯:৫০, ১৮ অক্টোবর ২০২১
- রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে মাহমুদুল্লাহ
- মাত্র ১ রানেই হারল টাইগার যুবারা
- দুই হ্যাটট্রিকে বিধ্বস্ত নেদারল্যান্ডস
- চার বলে চার উইকেট, আইরিশ পেসারের ইতিহাস
- হতাশজনক হারের পর যা বললেন রিয়াদ
- ডেলিভারিম্যান থেকে বাংলাদেশকে হারানোর নায়ক!
- বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মঙ্গলবার ওমানের মুখোমুখি বাংলাদেশ
- বিশ্বকাপে টাইগারদের করুণ পরাজয়
কার্টিস ক্যাম্পারের রেকর্ডগড়া ডাবল হ্যাটট্রিকের সুবাদে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৭ উইকেটের সহজ জয় পেয়ছে আয়ারল্যান্ড। ডাচদেরকে ১০৬ রানে অলআউট করে তিন উইকেট হারিয়ে আইরিশরা লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ২৯ বল হাতে রেখেই।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে নেদারল্যান্ডস। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বেন কুপার রানআউটের শিকার হয়ে ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। পরে ব্যাস ডি লিডি ১১ বলে ৭ রান করে ফিরলে ২২ রানে ২ উইকেট হারায় ডাচরা।
এর ফলে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেটে ২৫ রান সংগ্রহ করা নেদারল্যান্ডস ৯ ওভার শেষেই তুলে ফেলে ৫০ রান। তবে ইনিংসের দশম ওভারে বিশ্বরেকর্ড গড়েন আইরিশ পেসার কার্টিস ক্যাম্পার। ওভারের প্রথম বলে ওয়াইড দেন তিনি। পরের বলটি ছিল ডট। দ্বিতীয় বলে কলিন অ্যাকারম্যানকে উইকেটরক্ষক নেইল রকের ক্যাচে পরিণত করে প্রথম উইকেটটি পান ক্যাম্পার।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন তারকা অলরাউন্ডার রায়ান টেন ডোয়েসকাট। লেগ বিফোরের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাকে ফেরেন তিনি। পরের বলেও লেগ বিফোর করেন ক্যাম্পার। এ দফায় তার শিকার হন স্কট এডওয়ার্ডস। এতে হ্যাটট্রিক পূর্ণ হয় ২২ বছর বয়সী তরুণ অলরাউন্ডারের।
এখানেই থেমে থাকেননি ক্যাম্পার। ওভারের পঞ্চম বলে রিওলফ ফন ডার মারওয়েকেও বোল্ড করে টানা চার বলে চারটি উইকেট নেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন ক্যাম্পার। এর আগে বিশ্বকাপে একমাত্র হ্যাটট্রিক ছিল অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লির। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে ডাবল হ্যাটট্রিক আছে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা ও আফগানিস্তানের রশিদ খানের।
৫১ রানে ৬ উইকেট হারানো নেদারল্যান্ডসকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক পিটার সিলার। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ম্যাক্স ও’ডাউড ও সিলার সপ্তম উইকেটে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। ম্যাক্স আউট হলে ভাঙে এই জুটি। একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখা ম্যাক্স সাজঘরে ফেরেন ৪৭ বলে ৫১ রান করে।
অধিনায়ক সিলার ২৯ বলে করেন ২১ রান। লগান ফন বিকের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১১ রান। ইনিংসে শেষ বলে অলআউট হয় নেদারল্যান্ডস। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ডাচরা সংগ্রহ করে ১০৬ রান।
আইরিশদের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ার ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে শিকার করেন ৩টি উইকেট। আর ডাবল হ্যাটট্রিক করা ক্যাম্পার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নেন ওই ৪টি উইকেটই। এছাড়া একটি উইকেট পান জশুয়া লিটল।
পরে সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পল স্টার্লিং ও কেভিন ও’ব্রায়েন গড়েন ২৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। তবে হাসেনি ও’ব্রায়েন এবং অ্যান্ড্রু বালবির্নির ব্যাট। ও’ব্রায়েন ১০ বলে ৯ রান ও বালবির্নি ৬ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ৩৬ রানে ২ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ৩৮ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান স্টার্লিং ও গ্যারেথ ডিলানি। স্টার্লিং কেবল সঙ্গ দিতে থাকেন এবং অপরপ্রান্তে দ্রুতগতিতে রান তোলার কাজটি করেন ডিলানি। দারুণ খেলতে থাকা এই ব্যাটার ২৯ বলে ৪৪ রান করে সিলারের বলে বোল্ড হন। জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে ৯৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
তবে বাকি কাজটুকু ভালোভাবেই সারেন স্টার্লিং। বল হাতে নায়ক বনে যাওয়া ক্যাম্পারের ব্যাটেই আসে আয়ারল্যান্ডের জয়সূচক রানটি। যাতে ২৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ করল আয়ারল্যান্ড। স্টার্লিং অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৩০ রান করে। বিশ্বকাপে এটিই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের প্রথম জয়।
এনএস//