টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে টাইগারদের নয়া নজির
প্রকাশিত : ১৭:২৮, ২০ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৭:৩৫, ২০ অক্টোবর ২০২১
ওমান বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের একটি দৃশ্য
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২০২১ সালটা বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ ভালোই কাটছে। বিশ্বকাপের শুরুতে স্কটল্যান্ডের কাছে হোঁচট খেলেও, ওমানকে হারিয়ে এখন সুপার-টুয়েলভে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে সাকিব-রিয়াদরা। আর এই জয়ের মধ্যে দিয়েই টাইগাররা তাদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে গড়ে ফেলেছেন এক নয়া নজির।
এই প্রথমবার বাংলাদেশ কোনও এক ক্যালেন্ডার বর্ষে ১০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে সমর্থ হয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালে এক ক্যালেন্ডার বছরে সবথেকে বেশি ৭টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে সমর্থ হয় দলটি।
যদিও সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরমেন্স এখনও আশানুরুপ নয়। এখন পর্যন্ত ১১৫টি ম্যাচের মধ্যে ৪২টি জিতেছে তারা। ৭১ ম্যাচে হার ও দু’টি পরিত্যক্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপে ২৭টি ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র ৬টিতে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বাছাই পর্ব থেকেই এসেছে পাঁচটি জয়। বড় দলের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে তারা, তাও সেই বাছাই পর্বেই।
এদিকে, চলমান বিশ্বকাপের আগেই ঘরের মাঠ মিরপুরে সাকিব-মুস্তাফিজরা দুই শক্তিশালী দল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে সক্ষম হয়। সেই জয়ের ধারা সঙ্গে করেই বাংলাদেশ পা রেখেছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারে। তবে তাদের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। স্কটল্যান্ডের কাছে তাদের হারতে হয়েছিল মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে।
এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে যখন কার্যত তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়, তখন ওমানের বিপক্ষে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে তাদের জিততেই হতো পরের রাউন্ডে যেতে। সেই ম্যাচে তারা কার্যত চ্যাম্পিয়ান দলের মতোই খেলে সব আশঙ্কার মেঘ আপাতত কাটিয়ে দিয়েছে। ওমানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রানের মধ্যে ফিরেছেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
বল হাতে সাকিব-মুস্তাফিজদের সঙ্গে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন শেখ মাহেদি হাসান। ফলে দিনের শেষে তারা বড় জয় তুলে নিতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ দলের পরবর্তী ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে জিতলেই পৌঁছে যাবে সুপার টুয়েলভে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো অঘটন না ঘটলে পরের পর্বে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায়।
তবে সুপার-টুয়েলভে ওঠার পরে মাহমুদুল্লাহ বাহিনীর দলীয় গভীরতার পরীক্ষা প্রায় প্রতি ম্যাচেই দিতে হতে পারে বলে মত ক্রিকেট মহলের। কেননা, পরের রাউণ্ডে বাংলাদেশ দল তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে- ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলকে। এমনকি শ্রীলঙ্কাকেও পেতে পারে বাংলাদেশ।
এনএস//