অবশেষে হাঁটু মুড়ে বসতে রাজি হলেন ডি কক
প্রকাশিত : ১৬:৫৭, ২৮ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৭:০০, ২৮ অক্টোবর ২০২১
কুইন্টন ডি কক
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার মুভমেন্ট বা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূলত বেশ কয়েকদিন ধরেই কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদে এক অত্যন্ত জরুরি আন্দোলন, যার প্রতীক হিসাবে হাঁটু গেড়ে বসা হয়। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের এমনভাবে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক তাতে রাজি না হওয়ায় ঘটনাটি ব্যাপক আকার ধারণ করে।
এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে প্রোটিয়া দল থেকেও বাদ পড়েন ডি কক। প্রথমে এর কারণ খোলসা করে বলা হলেও, পরে জানানো হয়- দলের তারকা কিপার বোর্ডের নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়েছেন, হাঁটু মুড়ে বসে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজি হননি। এরপরেই তাঁকে দল থেকে বাদ দেয়া।
এ বিষয়ে প্রোটিয়া বোর্ড বিবৃতি দিলেও চুপচাপই ছিলেন ডি কক। তবে অবশেষে তিনি নিজের নীরবতা ভাঙলেন। ক্ষমাও চাইলেন এবং হাঁটু মুড়ে বসতে রাজিও হলেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত উইকেটকিপারের এক বিবৃতি প্রকাশ করে। সেই বিবৃতিতে ডি কক লেখেন, 'আমি কোনোভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না খেলে কাউকে অসম্মান করতে চাইনি। অনেকেই জানে না যে, গোটা বিষয়টা আমাদের মঙ্গলবার ম্যাচের দিন সকালেই খেলতে নামার আগে জানানো হয়। গোটা ঘটনায় যাদের মনে আঘাত লেগেছে, তাদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি এবং এর জন্য আমি দুঃখিত।'
ডি কক দাবি করেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের তরফে আগে খেলোয়াড়দের নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী বিকল্প বাছাইয়ের সুযোগ দেয়া হলেও ম্যাচের দিন কার্যত একপ্রকার জোর করেই সবাইকে হাঁটু মুড়ে বসতে বাধ্য করা হয়, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি।
প্রোটিয়া এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেন, 'জোর জবরদস্তি আমাকে কি করতে হবে সেটা বলে দেয়ায় আমার মনে হয়েছে যে, আমার ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব হচ্ছে। এ বিষয়ে আমার বোর্ডের সঙ্গেও কথা হয়েছে এবং বর্তমানে আমরা সবাই বিষয়টা আরও ভালভাবে বুঝতে পেরেছি। এগুলো যদি আগে থেকে ঠিকভাবে বলা হত, তবে ম্যাচের দিন যা ঘটেছে, তা সহজেই এড়ানো যেত।'
তাঁর মতে, কাউকে জবরদস্তি কিছু করানো হলে, বিশেষত এই ধরনের মুভমেন্টের ক্ষেত্রে, গোটা উদ্দেশ্যটাই অহেতুক হয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতা তাঁকে হতভম্ব করে দেয় বলেও জানান ডি কক।
পাশপাশি সাফ জানিয়ে দেন, আমি রেসিস্ট নই। আমি নিজের অন্তঃকরণ থেকে এটা জানি এবং যারা আমায় চেনে, আমার মনে হয় তারাও এটা জানে।
এনএস//