জামিন পেলেন নাসির-তামিমা
প্রকাশিত : ১৪:০৮, ৩১ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৪:৪৯, ৩১ অক্টোবর ২০২১
তালাক না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন, তামিমা সুলতানা তাম্মি ও তার মা সুমি আক্তার জামিন পেয়েছেন।
রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে তারা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
তামিমার সাবেক স্বামী রাকিব হাসানের দায়ের করা এই মামলায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ওই তিনজনকে আদালতে হাজির হতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সমন জারি করেছিলেন এ বিচারক।
আদালতে তিন আসামির পক্ষে জামিন শুনানি করেন কাজী নজিবুল্লাহ হিরু। আর বাদীপক্ষের ছিলেন আইনজীবী ইসরাত হাসান।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে ঢাকার হাকিম আদালতে এ মামলা দায়ের করেন মো. রাকিব হাসান। তার বক্তব্য শুনে ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
সাত মাস তদন্ত করে পিবিআই যে অভিযোগপত্র দিয়েছে, সেখানে যথাযথভাবে বিচ্ছেদ না করেই নতুন বিয়ে করার অভিযোগ আনা হয়েছে তামিমার বিরুদ্ধে।
আর নাসিরের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ‘অন্যের স্ত্রীকে প্রলুব্ধ’ করে নিয়ে যাওয়া, ‘ব্যাভিচার’ এবং তামিমার আগের স্বামীর মানহানি ঘটানোর অভিযোগ।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিস পাননি। তামিমা উল্টো ‘জালিয়াতি’ করে তালাকের নোটিস তৈরি করে তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখিয়েছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ায় তামিমা এখনও ‘আইনত রাকিবের স্ত্রী’।
আর সব ‘জেনেও’ বিয়েতে সহায়তা করায় তামিমার মাকেও অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে। তালাকের শর্ত ‘পূরণ হয়েছে’ দেখাতে সুমি আক্তার বেশ কিছু ‘জালিয়াতিও করেছেন’ বলে পিবিআইয়ের ভাষ্য।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা ‘অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ’। ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে ‘অবৈধ’। তারা দণ্ডবিধির ৪৬৮/৪৭১/৪৯৪/৪৯৭/৫০০/৩৪ ধারায় ‘অপরাধ করেছেন’ বলে তদন্তে ‘প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে।
এ মামলায় যেসব ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের করাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে।
এমএম/ এসএ/