ঢাকা, সোমবার   ০৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শেষ দুই ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়তে চান ডমিঙ্গো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১৫, ১ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২৩:১৭, ১ নভেম্বর ২০২১

রাসেল ডমিঙ্গ

রাসেল ডমিঙ্গ

Ekushey Television Ltd.

চলতি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। যে ম্যাচে সাকিবের বদলে বিশ্বমঞ্চে অভিষেক হতে পারে শামীম হোসাইনের। আবু ধাবীতে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়। আর এই ম্যাচটিসহ শেষ দুই ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস গড়তে চান বলেই ঘোষণা দিয়েছেন টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।

সোমবার ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ইতিহাস বলছে টি-টোয়েন্টির মূল মঞ্চে একটার বেশি ম্যাচ জিততে পারিনি। আমাদের সামনে সুযোগ এখন নতুন ইতিহাস লেখার। জানি, সেমির স্বপ্ন আর নেই আমাদের। কিন্তু তারপরও শেষ ম্যাচগুলোতে সামর্থের শতভাগ দিতে চাই আমরা।

এদিকে, কষ্টেশিষ্টে সুপার টুয়েলভে উঠে টানা তিন ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন এখন মরুর বুকে পানি খুঁজে ফেরা অসহায় এক কাফেলা! মরীচিকার ধাঁধাঁ থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্যে পথের হদিশ পাওয়াটা যেন আরও কঠিন হয়েছে সাকিবের বিদায়ে। সব কিছুই যেন বিপক্ষে, বৈরী পরিবেশ। তাই তো প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা হওয়া সত্ত্বেও তা বড় হয়ে উঠছে না দলের সামনে।

তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে ম্যাচ ভেন্যু আবুধাবিতেই অনুশীলন করেছে প্রোটিয়ারা। অথচ দুই দিন বিশ্রাম নিয়ে মাহমুদউল্লাহরা অনুশীলন করেছেন দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমিতে। সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে আরও একটা প্রশ্ন- আইপিএল খেলে সাকিব-মোস্তাফিজ দুজনই কি ক্লান্ত?

এ নিয়ে ডমিঙ্গো বললেন, দীর্ঘদিন বায়োবাবলে থাকাটা খুব কঠিন। আমি নিজেও অনুভব করছি। ওরা দীর্ঘদিন ধরেই বন্দি। তবে ক্লান্ত কিনা তার কোনো উত্তর দিতে চাই না। আর কাউকে এককভাবে দায় দিতেও রাজি নই আমি। আমি জানি, দলের সমালোচনা হচ্ছে সর্বত্র। র‍্যাঙ্কিংয়ের ১১ থেকে ৬-এ আসা সহজ ছিল না। আমাদের উচিত সামনের বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করা।

সবকিছু ঠিক থাকলে টি-টোয়েন্টির পরের বিশ্বকাপ আসরটি বসবে অস্ট্রেলিয়ায়, ২০২২ সালে। সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন বর্তমান কোচ। তবে সেই পরিকল্পনায় ডোমিঙ্গো নিজেই থাকবেন কিনা, সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। চলতি বিশ্বকাপ আসরটিই পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে যে, ঘরের মাঠ আর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের পার্থক্যটা আসলে কতোখানি। তবে একটা জয়ই কিন্তু সবকিছুই ওলট পালট করে দিতে পারে!

তাই এখন ভাবনাতে কেবলই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচটিই। এর আগে এই ফরম্যাটে ৬ বার মুখোমুখি হলেও ছয় বারই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ওয়ানডে-তে প্রোটিয়াদের হারানোর রেকর্ড আছে টাইগারদের।

এদিকে, সাইফুদ্দিনের পর সোহান ও সাকিব ইনজুরিতে পড়ায় ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ এখন ১৩-তে নেমে এসেছে। যে কারণে এখন একাদশ গড়াই কঠিন হয়ে যাচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য। সাকিব না থাকায় সৌম্য ও আফিফকে ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে আনা হতে পারে। আর অভিষেক হতে পারে শামিম হোসাইনের।

অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও হালকা ইনজুরির সমস্যা রয়েছে তাবরাইজ শামসি ও ডেভিড মিলারের। যেহেতু অফিসিয়ালভাবে এখনও কিছু জানায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা, সেক্ষেত্রে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই খেলবে তারা। সেইসঙ্গে এখনও সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টেম্বা বাভুমাদের। 

আর বাংলাদেশের সামনে এখন ২০০৭ সালের পর কোনো বড় দলকে হারানোর আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ! রিয়াদরা পারবে কি তা কাজে লাগাতে?

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য): মোহাম্মদ নাঈম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসাইন, শামীম হোসাইন, মাহেদী হাসান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ (সম্ভাব্য): কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রিজা হেন্ড্রিক্স, রাসি ফন ডার ডুসেন, টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), এইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারাজ, অ্যানরিক নরকিয়া, তাবারাইজ শামসি।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি