ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্যাপ্টেন্স নকে কিউয়িদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪২, ১৪ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২১:৪৭, ১৪ নভেম্বর ২০২১

এভাবেই এক হাতে ছক্কা হাঁকান কিউয়ি ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন

এভাবেই এক হাতে ছক্কা হাঁকান কিউয়ি ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন

২০১৫ ওয়ানডে  বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ফের কোনও আইসিসি ইভেন্টের শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে খেতাব জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুবাইয়ে এবার নিউজিল্যান্ডের সামনে সুযোগ এসেছে হিসাব বরাবর করার। সেই লক্ষ্যে আগে ব্যাট করে উইলিয়ামসনের ব্যাটে চড়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে কিউয়িরা।

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তোলার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও তা ধরে রাখতে পারেনি কিউয়িরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ২৮ রান তুলতেই সেমিফাইনালের নায়ক ড্যারিল মিচেলকে হারায় দলটি। ম্যাক্সওয়েলকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৮ বলে ১১ করা মিচেল হ্যাজলউডের শিকার হন উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে।

সেইসঙ্গেই যেন থমকে যায় নিউজিল্যান্ডের রানের চাকাও। ছয় ওভারে ৩২ রান সংগ্রহ করা কিউয়িরা তাদের প্রথম দশ ওভারে আর কোনও উইকেট না হারালেও তুলতে পারে মাত্র ৫৭টি রান। তবে ১১তম ওভারে স্টার্ককে সামনে পেয়েই যেন রান উৎসবে মেতে ওঠেন উইলিয়ামসন। এক নো-বলসহ তিন বাউন্ডারি হজম করে মোট ১৯ রান দেন স্টার্ক।

যদিও ওভারটির চতুর্থ বলেই আউট হয়ে সাজঘরে ফেরাতে পারতেন কিউয়ি ক্যাপ্টেনকে। তবে সীমানায় তাঁর ক্যাচটি ফেলে তা বাউন্ডারিতে রূপ দেন হ্যাজলউড। ফলে ২১ রানে জীবন ফিরে পেয়ে ম্যাক্সির ওভারে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে মাত্র ৩২ বলেই ফিফটি আদায় করেন উইলিয়ামসন। 

তাঁর আগেই অবশ্য গাপ্টিলকে তুলে নেন অ্যাডাম জাম্পা। যাতে ভেঙে যায় শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়া ৪৫ বলে ৪৮ রানের জুটি। স্টয়নিসের হাতে ধরা পড়ে ফেরার আগে ৩৫ বলে ২৮ করেন কিউয়ি ওপেনার। এরপর ফিলিপসকে সঙ্গী করে রীতিমত বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন কেন। স্টার্কের তৃতীয় ওভার থেকে পাঁচ বাউন্ডারিতে ২২ রান তোলেন একাই। 

সেইসঙ্গে তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৩৭ বলে গড়ে তোলেন ৬৮ রানের অনবদ্য জুটি। একটি করে চার-ছয় হাঁকিয়ে ১৭ বলে ১৮ করা ফিলিপস ১৮তম ওভারে হ্যাজলউডের দ্বিতীয় শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। আরও একটি চার হাঁকিয়ে ওই ওভারেই আউট হন উইলিয়ামসন। যাতে থেমে যায় তাঁর ৪৮ বলে ৮৫ রানের মারকুটে ইনিংসটি। যে ইনিংসে ছিল ১০টি দর্শনীয় চারের সঙ্গে তিনটি বিশাল বিশাল ছয়ের মার। 

ফলে ১৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড শেষ দুই ওভারে আর মাত্র ২৩ রান নিতে পারলে দলটির স্কোর গিয়ে পৌঁছে ১৭২-এ। জিমি নিশাম মাত্র ৭ বলে ১৩ রানে এবং টিম সেইফার্ট ৬ বলে ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। চার ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে কিউয়িদের লাগাম টেনে ধরেন অজি পেসার জস হ্যাজলউড।

আর ২৬ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট তুলে নিতে পারেন লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। তবে নিজের কোটা পূরণ করে ৬০ রান দিলেও উইকেটের দেখা পাননি মিচেল স্টার্ক। এর আগে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় অজিরা। ফলে বাধ্য হয়েই আগে ব্যাট করতে নামে কেন উইলিয়ামসনের দল। 

সাম্প্রতিক সময়ে নিউজিল্যান্ড অবশ্য আইসিসি ইভেন্টে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে। তারা ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে। কয়েক মাস আগেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব ঘরে তোলে নিউজিল্যান্ড। 

সেদিক থেকে দেখলে অস্ট্রেলিয়া শেষবার আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওঠে ২০১৫ সালেই। দীর্ঘ ৬ বছর পর ফের ট্রফি জয়ের হাতছানি রয়েছে অজিদের সামনে। এখন দেখার বিষয়, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ হাসি হাসে কোন দল।

নিউজিল্যান্ড একাদশ
মার্টিন গাপ্টিল, ড্যারিল মিচেল, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), টিম সেইফার্ট (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, অ্যাডাম মিলনে, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট ও ইশ সোধি।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ
ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথিউ ওয়েড (উইকেটকিপার), প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জস হ্যাজলউড।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি