সেই লিটন-মুশফিকেই মুক্তি, ছুটছে বাংলাদেশ

পাকিস্তানি বোলিং তোপের মুখে লাঞ্চের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপর্যয়ে ঠিক তখনই ক্রিজে এসে  লিটনের সঙ্গে দলের হাল ধরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম। পরপর ফিফটিও তুলে নিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। যার ফলে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এখন দুইশ পার করে ছুটছে বড় লক্ষ্যেই।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃতীয় সেশনের খেলা চলছে। ৬৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০০ রান। লিটন দাস ৭৬ রানে এবং মুশফিকুর রহিম ৬৯ রানে ক্রিজে আছেন। 

এর আগে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক মোমিনুল হক সৌরভ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বেশিক্ষণ থিতু হনে পারেননি সাইফ হাসান। পঞ্চম ওভারে শাহিন আফ্রিদির বাউন্সারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উইকেট হারান এই ওপেনার। ব্যক্তিগত ১৪ রান করে সাঝঘরে ফেরেন তিনি।

সাইফের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমানও। হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিদায় নেন তিনিও। ব্যাট করতে নেমে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মোমিনুল হকও। সাজিদ খানের বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে উইকেট হারান তিনি।

তিনে ব্যাট করতে নামা নাজমুল হোসাইন শান্তও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ফাহিম আশরাফের বলে সাজিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৪ রানে বিদায় নেন তিনিও। এ নিয়ে পরপর তিন ব্যাটারই ১৪ রানে আউট হন এদিন। যাতে পঞ্চাশের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিক দল।

তবে সেখান থেকেই জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করতে ক্রিজ আঁকড়ে থেকে প্রথম সেশনটা নির্বিঘ্নেই পার করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। এমনকি লাঞ্চের পর এসে দ্বিতীয় সেশনটাও নিজেদের দখলে নেন এই দুই টাইগার। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১২২ রানের রানের অনবদ্য এক জুটি। 

সেইসঙ্গে ব্যক্তিগত ফিফটিও তুলে নেন এই দুই ব্যাটার। প্রথমে নিজের ৯৫তম বলে নোমান আলীকে চার মেরে ব্যক্তিগত দশম ফিফটি আদায় করেন লিটন। সেইসঙ্গে গড়েন এক অন্যরকম নজিরও। একমাত্র বাংলাদেশী ব্যাটার হিসেবে কোনও সেঞ্চুরি ছাড়াই দশটা ফিফটির মালিক এখন তিনিই। যে ইনিংস খেলার পথে ছয়টা চারের সঙ্গে একটি ছক্কাও হাঁকান লিটন।

অন্যপ্রান্তে থাকা মুশফিক অবশ্য তাঁর ফিফটি মার্কে পৌঁছতে সময় নেন একটু বেশিই। ৫৩তম ওভারে হাসান আলীকে পরপর দুটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০৮তম বলে ল্যান্ডমার্কে পৌঁছান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। যা তাঁর ক্যারিয়ারের ২৪তম টেস্ট ফিফটি। 

বাংলাদেশ একাদশ
সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসাইন শান্ত, মোমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, ইয়াসির আলী, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, আবু জায়েদ রাহি।

পাকিস্তান একাদশ
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, আব্দুল্লাহ শফিক, আবিদ আলী, আজহার আলী, ফাওয়াদ আলম, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, নোমান আলী, সাজিদ খান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।

এনএস//