তামিমদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে রেকর্ড গড়লেন জয়!
প্রকাশিত : ১৭:৪৭, ২ জানুয়ারি ২০২২
ফিফটি হাঁকানোর পর জয়ের উদযাপন
ওপেনারদের নিয়ে বাংলাদেশ দলের সমস্যাটা যেন একটা নিয়মিত বিষয়ে পরিণত। তবে সেই ওপেনিং সমস্যার মধ্যেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামা মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বিতীয় দিন দেশে ৭০ রানে অপরাজিত থাকা তরুণ এই ওপেনার ভেঙেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকীর গড়া একমাত্র রেকর্ডটি।
শনিবার মাউণ্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৩২৮ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম ও নিউজিল্যান্ডের মত টাফ কন্ডিশন চিন্তা করে স্বাগতিকদের এই সংগ্রহকেই পাহাড়সম ভাবছিলেন অনেকেই। দেশের মাটিতে পাকিস্তান সিরিজেই অভিষিক্ত জয় নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে ইনিংস উদ্বোধনে কেমন করবেন, তা নিয়েও ছিল দ্বিধাদ্বন্দ্ব। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই তরুণ তুর্কি।
একাধিকবার জীবন পেলেও ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করেছেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার। অর্ধশতক স্পর্শ করতে জয় খেলেন ১৬৫টি বল। যে পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দেয়, ধৈর্যের পরীক্ষায়নিজেকে ঠিকই প্রমাণ করেছেন তিনি। নিজের তৃতীয় ইনিংসেই প্রথম আন্তর্জাতিক অর্ধশতকের স্বাদ পাওয়ার আগেই অবশ্য এক অনন্য কীর্তি গড়ে ফেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
এতদিন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশি ওপেনারদের মধ্যে এক ইনিংসে ১৪৪টি বল খেলে সর্বোচ্চ বল খেলার রেকর্ড ছিল জুনায়েদ সিদ্দিকীর। জুনায়েদ অনেক দিন আগেই জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়েছেন। তারপরে ওপেনিংয়ে দেখা গেছে আরও অনেক নতুন মুখ। তবে ২০০৮ সালে গড়া জুনায়েদের সেই রেকর্ডটি এতদিন পর ভাঙলেন জয়।
১৪৫টি বল খেলার সঙ্গেসঙ্গেই জুনায়েদের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন টাইগার তরুণ এই ওপেনার। সেইসঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই শতাধিক বল খেলার রেকর্ডও গড়ে ফেলেন জয়।
দেশের হয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্টের এক ইনিংসে জয়ের চেয়ে বেশি বল মোকাবেলার রেকর্ড আছে আর কেবল তিনজনেরই। ২৭৬টি বল মোকাবেলা করেছেন সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ২৬০টি বল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ২২৯টি বল।
অন্যদিকে, ওপেনার হিসেবে জয়ের উপরে আছেন কেবল ইংলিশ ওপেনার ররি বার্নস। তবে এদের সবাইকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনও হাতে আছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। কেননা, ইতিমধ্যেই ৭০ রান করে অপরাজিত থাকা জয় এখন পর্যন্ত ২১১টি বল মোকাবেলা করেছেন।
সোমবার তৃতীয় দিনে ব্যাট হাতে নেমে যদি ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটি হাঁকাতে পারেন, তাহলে রেকর্ডটি চলে আসতে পারে জয়ের মুঠোতেই। যা কেবলই সময়ের অপেক্ষা। আবার তা যদি নাও হয়, অবশ্য যতটুকু করেছেন, তা-ই বা কম কিসে!
যে ইনিংসে চড়ে ২টি উইকেট হারানো বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে ১৭৫ রানে। যদিও কিউয়িদের থেকে এখনও ১৫৩ রান পিছিয়ে আছে। তবে পিচের যে অবস্থা তাঁতে, মোমিনুল-মুশফিক-লিটনদের জন্য এই রান টপকে যাওয়াটা খুব বড় কোনও চাপ হওয়ার কথা নয়। তবে বাস্তবতাটা সময়ই বলে দিবে।
এনএস//