ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বড় লিড নিল বাংলাদেশ, চাপে নিউজিল্যান্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৮, ৪ জানুয়ারি ২০২২

দ্বিতীয় ইনিংসে কনওয়েকে ফিরিয়ে আরেকটি উইকেট নেয়া এবাদত হোসাইন

দ্বিতীয় ইনিংসে কনওয়েকে ফিরিয়ে আরেকটি উইকেট নেয়া এবাদত হোসাইন

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও তিন অঙ্কে পা দিতে পারলেন না মাহমুদুল হাসান জয়, অধিনায়ক মোমিনুল হক ও লিটন দাস। এই তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরি মিসের পরও ১৩০ রানের বড় লিডই নিয়েছে বাংলাদেশ। যার জবাব দিতে নেমে ৬৩ রানেই ২টি উইকেট হারিয়ে এখন চাপে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ৪০১ রান নিয়ে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে বাকি ৪ উইকেট হারিয়ে আরও ৫৭টি রান যোগ করতে পারে টাইগাররা। ২০ রান নিয়ে খেলতে নামা মিরাজ এদিন যোগ করেন আরও মূল্যবান ২৭টি রান। সেইসঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারে এক হাজার রান পূরণ করেন এই অলরাউন্ডার।

দিনের প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে সপ্তম উইকেটে ইয়াসির আলীর সঙ্গে গড়েন ৭৫ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তবে মাত্র তিন রানের জন্য চতুর্থ টেস্ট ফিফটি মিস করেন টিম সাউদির প্রথম শিকার হওয়া মিরাজ। ৮৮ বলে তাঁর এই ৪৭ রানের ইনিংসে ছিল ৮টি চারের মার।

এরপর ইয়াসির আলী ২৬ রান করে জেমিসনের শিকার হলে বেশিদূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশের স্কোর। ৪৫০ রানে অষ্টম উইকেট হারানো দলটির হয়ে তাসকিন-শরিফুলরা আর যোগ করতে পারেন মাত্র ৮টি রান। যার ফলে ৪৫৮ রানেই শেষ হয় সবচেয়ে বেশি ১৭৬.২ ওভার খেলা সফরকারীদের প্রথম ইনিংস। 

যাতে মোমিনুলের দল লিড পায় ১৩০ রানের। কিউয়িদের পক্ষে বোল্ট ৪টি, ওয়াগনর ৩টি, সাউদি ২টি ও জেমিসন একটি উইকেট লাভ করেন।

এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৭৫ রান করে বাংলাদেশ। ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৩ রানে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। আগের দিন সাদমান ইসলাম ২২ ও নাজমুল হোসাইন শান্ত ৬৪ রানে আউট হয়েছিলেন। মাহমুদুল হাসান জয় ৭০ ও মোমিনুল ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। 

সোমবার টেস্টের তৃতীয় দিনের ১৮তম বলেই আউট হন জয়। গালিতে নিকোলসকে ক্যাচ দেয়ার আগে ২২৮ বলে ৭টি চারে ৭৮ রান করেন তিনি। দলের স্কোর ২শ পার হবার পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিমও। ট্রেন্ট বোল্টের মিডল-স্টাম্পের বল স্কয়ার লেগে ফ্লিক করতে গিয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার। ৫৩ বলে ১২ রান করেন তিনি। দলীয় ২০৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

দিনের শুরুতে ১৯ রানের ব্যবধানে জয় ও মুশফিককে হারানোয় চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চাপ থেকে দলকে মুক্ত করেন মোমিনুল হক ও লিটন দাস। পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামালে নেন তারা। ফলে দ্বিতীয় সেশনে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান এ দুজন। ঐ সেশনেই হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান দুজনেই। 

১৪৭তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক মোমিনুল। চা-বিরতির আগের ওভারে ৯৩তম বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন। তাই ৪ উইকেটে ৩০৭ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এ সময় মোমিনুল ৬১ ও লিটন ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই সেশনে ২৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৭ রান তুলে লিড নেয়ার পথ তৈরি করেন মোমিনুল ও লিটন।

চা-বিরতির পর ৩১তম বলে লিড নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে প্রথম লিড নিলো টাইগাররা। দলের লিড নিশ্চিত করার পরও নিজেদের ইনিংসগুলো স্বাচ্ছেন্দ্যে বড় করছিলেন মোমিনুল ও লিটন। দু’জনের ব্যাটিং দৃঢ়তায়, অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করার পথেই ছিলেন তারা। কিন্তু ২৪ বলের ব্যবধানে দু’জনইকে বিদায় দেন বোল্ট।

১৪১তম ওভারের শেষ বলে মোমিনুলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন বোল্ট। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি মোমিনুল। ১২টি চারে ২৪৪ বলে ৮৮ রান করেন মোমিনুল। পঞ্চম উইকেটে লিটনের সাথে ৩১৭ বলে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন মোমিনুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে এটি চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি।

মোমিনুলকে শিকার করে দারুণ এক ব্রেক-থ্রুর পর ১৪৫তম ওভারের পঞ্চম বলে লিটনের বিদায়ও নিশ্চিত করেন বোল্ট। অফ-স্টাম্পের বল খেলতে গিয়ে ভুল শটে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন লিটন। ১৭৭ বলে ৮৬ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ১০টি চার। ক্রিজে ছিলেন ২৪৭ মিনিট। মোমিনুল ছিলেন ৩৭০ মিনিট। 

মোমিনুল-লিটনের বিদায়ের পর দিনের শেষ অংশ ভালোভাবে শেষ করেন ইয়াসির আলি ও মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৭ বল খেলে অবিচ্ছিন্ন ৩১ রান যোগ করেন তারা। ইয়াসির ১১ ও মিরাজ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। 

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি