ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

যে রিভিউ নিয়ে হাসির খোরাক হলেন মোমিনুলরা! (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪১, ৪ জানুয়ারি ২০২২

স্পষ্টতই সরাসরি ব্যাটে লাগে বলটি

স্পষ্টতই সরাসরি ব্যাটে লাগে বলটি

ব্যাটের ঠিক মাঝখানে লেগেছিল তাসকিনের ডেলিভারি দেয়া ওই বলটা। তবুও ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে রীতিমত ট্রোলের মুখে পড়লেন মোমিনুল-তাসকিনরা। নেটিজেনরা তো আলোচনা শুরু করে দিলেন- এটাই কি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ডিআরএস?

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৭তম ওভারে বল করেন তাসকিন আহমেদ। স্ট্রাইকে ছিলেন রস টেইলর। সেই সময় নিউজিল্যান্ডের স্কোর ছিল দুই উইকেটে ৯০ রান। বাংলাদেশের থেকে পিছিয়ে ছিল ৪০ রানে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে ইয়র্কার ছোড়েন তাসকিন। তারপরই লেগ বিফোরের আবেদন করেন সমস্বরে। উইকেটকিপার লিটন দাসও শামিল ছিলেন তাতে। যদিও জোরালো আবেদন করেননি কেউই।

তবে রিভিউ নেয়া হবে কিনা- তা নিয়ে আলোচনা করতে থাকেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। বিশেষত তাসকিন মরিয়া ছিলেন রিভিউ নিতে। এরই একটা ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই টা ভাইরাল হয়ে যায়।

স্ট্যাম্প মাইক্রোফোনে রেকর্ড হওয়া ভয়েসে তাসকিনকে বলতে শোনা যায়, ‘ভাই, পায়ে লেগেছে বল।’ পাশ থেকে কেউ একজন বলেন, ‘ভাই, ও ভাই, ব্যাট লেগেছে।’ 

যদিও তাসকিন অনড় থাকেন যে, পায়েই লেগেছে বল। বোলারের কথা শুনে একেবারে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন অধিনায়ক মোমিনুল হক। তবে তাঁর অঙ্গভঙ্গি দেখেও মনে হচ্ছিল না যে, খুব একটা নিশ্চিত ছিলেন তিনি।

রিভিউয়ে যথারীতি অধিনায়কের আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়। রীতিমতো তাতে ট্রোলের মুখে পড়েছেন তাসকিনরা। রিভিউয়ে দেখা যায়, পায়ের কোথাও বলই লাগেনি। প্যাডের যথেষ্ট দূর থেকেই বল গিয়েছে। পরিষ্কার ব্যাট মাঝখান দিয়েই বল রুখে দিয়েছেন টেইলর। বল এবং প্যাডের মাঝে এতটাই দূরত্ব ছিল যে, খালি চোখেই বাতিল হয়ে যায় সে রিভিউ। যেটা ছিল বাংলাদেশের শেষ রিভিউও! 

আর এটা নিয়ে হাসতে শোনা যায় ধারাভাষ্যকারদেরও। পাশাপাশি হাসির খোরাক হয় দর্শক সমর্থকদেরও। রীতিমত ট্রোলের শিকার হন তাসকিন-মোমিনুলরা।

ভিডিওতে দেখুন- 

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি