ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

‘পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ সৃষ্টির সংকল্প করেছিলাম’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৬, ৫ জানুয়ারি ২০২২

এবাদতকে ঘিরে টাইগারদের উল্লাস

এবাদতকে ঘিরে টাইগারদের উল্লাস

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরই বিপক্ষে ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার সময়ই দলকে জয় এনে দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উদাহরণ সৃষ্টির সংকল্প করেছিলেন টাইগাররা।

সেই সংকল্পের প্রতিফলন হিসেবেই বুধবার মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটসহ মোট ৭ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পেসার এবাদত হোসাইন। ম্যাচ শেষে এই পেসার জানালেন, আগে থেকেই তারা সংকল্প করে এসেছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এবার হারাতেই হবে।

এবাদতের ভাষায়, “প্রথমে ধন্যবাদ জানাতে চাই আল্লাহকে। দ্বিতীয়ত নিউজিল্যান্ডের মাটিতে আমাদের দল ২১ বছর ধরে কোনও ম্যাচ জেতেনি। এবার একটা লক্ষ্য ঠিক করে এসেছিলাম। নিজেদের হাত তুলেছি, আর বলেছি- তারা টেস্ট চ্যাম্পিয়ন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাদের হারানোর উদাহরণ রেখে যেতে হবে।”

নিজের বোলিংয়ে উন্নতি নিয়ে এবাদত বলেন, “গত দুই বছরে ওটিস গিবসনের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। ঘরের মাঠে কন্ডিশন সবসময় ফ্ল্যাট থাকে। আমরা এখনও বাইরে কীভাবে বল ও রিভার্স করতে হয় সেটা শিখছি। আমার সাফল্যের জন্য কিছুটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে।”

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্য থেকে পেসার হান্টের মাধ্যমে ক্রিকেটে আসেন এবাদত হোসাইন। একজন ভলিবল খেলোয়াড় থেকে দ্রুতই নিজেকে প্রস্তুত করে জাতীয় দলেও জায়গা করে নেন তিনি। ক্রিকেট কিংবা বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করা- দেশের জন্য দুটি কাজই উপভোগ করেন তিনি।

এবাদত বলেন, “আমি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন সদস্য, জানি কীভাবে স্যালুট দিতে হয়। আর ভলিবল থেকে ক্রিকেটে আসার গল্পটা অনেক লম্বা। আমি ক্রিকেটটা উপভোগ করছি, বাংলাদেশ দল ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করাটাও।”

ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত ১১তম টেস্ট ম্যাচ খেলা এবাদত হোসাইন এর আগের ১০ টেস্টে সাকুল্যে উইকেট পান মাত্র ১১টি। যেখানে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৮১ রানে ৩ উইকেট। যেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই তিন নিয়েছেন মোট ৭টি উইকেট, যার মধ্যে তাঁর সেরা বোলিং ফিগার ৪৬ রানে ৬ উইকেট। 

যা দেশের বাইরে বাংলাদেশি কোনও পেসারের জন্য এক অনন্য অর্জন। কেননা, এই কীর্তি গড়তে সময় লাগে দীর্ঘ ৮টি বছর। হ্যাঁ, পাঠক এই আট বছর আগে কামরুল ইসলাম রাব্বির হাত ধরেই বিদেশের মাটিতে সর্বশেষ পাঁচ বা তাঁর বেশি উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেন কোনও বাংলাদেশি পেসার। আর এই অসাধারণ নৈপূণ্যের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন টাইগার এই পেসার। 

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি