ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

১২৬ রানেই শেষ, ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৫, ১০ জানুয়ারি ২০২২

ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ক্রিজে দম নিচ্ছেন ইয়াসির আলী

ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ রানের ইনিংস খেলার পথে ক্রিজে দম নিচ্ছেন ইয়াসির আলী

ছয় উইকেটে ৫২১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে দেয় নিউজিল্যান্ড। তাদের ইনিংসে ছিল একটি করে দ্বি-শতক ও শতকের সঙ্গে দুটি অর্ধশতক। বিশাল এই রানের জবাব দিতে নেমে ইয়াসির আলীর একমাত্র ফিফটিতে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। যাতে ফলোঅনে পড়েই দিন শেষ করল মোমিনুল বাহিনী!

একাই পাঁচটি উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে তিনশ উইকেট পূর্ণ করেন কিউয়ি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া টিম সাউদি ৩টি এবং কাইল জেমিসন ২টি উইকেট শিকার করেন। যাতে মাত্র ৪১.২ ওভার স্থায়ী হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। 

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৫টি বল মোকাবেল করে ক্যারিয়ার সেরা ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা ব্যাটার ইয়াসির আলী চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি ছোঁয়া ইনিংস খেলার পথে ৭টি চার মারেন ইয়াসির। 

এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করে সাউদির তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ইনজুরিতে পড়া মুশফিকের বদলে এই টেস্টে সুযোগ পাওয়া নুরুল হাসান সোহান। কিউয়ি বোলিং তোপের মুখে এই দুজন ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি আর কেউই। যার ফলে ফলোঅনে পড়ে এখন ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।

হ্যাগলি ওভালে সোমবার ৯৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নামেন কনওয়ে। দিনের শুরুতেই তিনি পান শতকের দেখা। তবে আর বেশি দূর যেতে পারেননি। মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোতে রান আউট হয়ে থামেন ১০৯ রানে। কনওয়ের ১৬৬ বলের ইনিংসে ছিল ১২ চার ও এক ছক্কা।

কনওয়ে ফেরার পর ল্যাথামের সঙ্গে জুটি গড়েন রস টেইলর। ৩৯ বলে ২৮ রান করা টেইলরকে শিকার করেন এবাদত। শরিফুলের হাতে ক্যাচ দেন বিদায়ী টেস্ট খেলা টেইলর। হেনরি নিকোলসকেও শিকার করেন এবাদত। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন নিকোলস।

আর মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে ড্যারিল মিচেলকে শিকার করেন শরিফুল। মিচেলও সোহানের তালুবন্দী হন। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফেরার পর ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করেন টম ল্যাথাম ও টম ব্লান্ডেল। ল্যাথাম আউট হওয়ার আগে দুজনে গড়েন ৭৬ রানের জুটি। মোমিনুল হকের বলে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন ল্যাথাম। কিউই অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩৭৩ বলে ২৫২ রান। ইনিংসটিতে ছিল ৩৪টি চার ও ২টি ছক্কা।

এরপর ব্লান্ডেল অর্ধশতক হাঁকানোর পর ইনিংস ঘোষণা করে ব্ল্যাকক্যাপস। ৬০ বলে ৫৭ রানের দ্রুতগতির ইনিংস খেলেন ব্লান্ডেন। নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ৫২১ রান। বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ও এবাদত দুইটি করে এবং মোমিনুল একটি উইকেট নেন।

কিউয়ি রান পাহাড়ের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে সাদমান ইসলাম আউট হলে ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা। অভিষিক্ত নাঈম শেখ বিদায় নেন ০ রানে। এরপরই নাজমুল হোসাইন শান্ত ৪ ও অধিনায়ক মোমিনুল ০ রানে আউট হন। 

ফলে মাত্র ১১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিনের আলোতেও চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। এই অবস্থায় ১৬ রান যোগ করে চা বিরতিতে যান লিটন দাস ও ইয়াসির আলী। কিন্তু মাঠে ফিরেই সাজঘরের পথ ধরেন ৮ রান করা লিটন দাস। মনে হল অতি দরকারী কিছু একটা ফেলে এসেছেন ড্রেসিং রুমে।

আর এতেই মাত্র ২৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দল। যেখান থাকে টেনে তোলার চেষ্টা চালান নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলী চৌধুরী। দুজনে মিলে ১০৭টি বল খেলে গড়েন ৬০ রানের জুটি। 

কিন্তু বিপর্যয় কাটিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর আগেই এই জুটিকে শেষ করেন টিম সাউদি। লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন সোহান। যাতে দলীয় ৮৭ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি