পারল না কুমিল্লা, প্রতিশ্রুত ফাইনালে সাকিবের বরিশাল
প্রকাশিত : ২১:৩৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২১:৫৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২
জয়ের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান
শিরোপা নিয়েই বরিশালে যেতে চেয়েছিলেন সাকিব। এখন পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেই চলেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার করার পর এবার ফাইনালেও পৌঁছে গেল ফরচুন বরিশাল। সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১০ রানে হারিয়েই শিরোপা জয়ের একেবারে কাছে পৌঁছে গেল সাকিবের দল।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামলেও ফরচুন বরিশালের হয়ে শুভ সূচনা করেন ক্রিস গেইল ও মুনিম শাহরিয়ার। দুজনের ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন শহিদুল ইসলাম। ১৯ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন গেইল। দ্বিতীয় উইকেটে ১৮ বলে ২৬ রান যোগ করেন মুনিম ও শান্ত। মারমুখী ভঙ্গিতে থাকা মুনিম বড় শট খেলতে গিয়েই তানভীরের বলে এলবিডব্লিউ হন।
মাঠ ছাড়ার আগে এই হার্ডহিটার করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। মারকুটে এই ব্যাটারের উইলো থেকে আসে দুটি চারের সঙ্গে ৩টি বিশাল ছক্কার মার।তবে সাকিব আল হাসান নেমেই নিজের ভুলেই রান-আউট হন। ২ বলে ১ রান করেন তিনি। শুরু হয় বরিশালের ইনিংসের ভাঙন! ৮৪ রানের দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৯৪ রানের মধ্যে বরিশাল হারিয়ে ফেলে পাঁচটি উইকেট।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৩ রান সংগ্রহ করতে পারে বরিশাল। ডোয়াইন ব্রাভো ২১ বলে ১৭ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন। কুমিল্লার পক্ষে শহিদুল তিনটি এবং মঈন আলী দুটি উইকেট শিকার করেন।
ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। তবে ৩০ বলে ২০ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলে আউট হন মাহমুদুল হাসান জয়। জয়কে মেহেদী হাসান রানা বোল্ড করার পর টানা তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। ৩৫ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন লিটন দাস। যাতে ৬৮ রানে ৩ উইকেট হারায় কুমিল্লা।
চতুর্থ উইকেটে মঈন ও ডু প্লেসিস গড়েন ২১ বলে ৩৬ রানের জুটি। তবে মঈনকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন ডোয়াইন ব্রাভো। ১৫ বলে ২২ রান করেন মঈন, হাঁকান তিনটি ছক্কা। ১৫ বলে ২১ রান করে দলের প্রয়োজনের সময়েই ক্যাচ আউট হয়ে যান ডু প্লেসিসও।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে কুমিল্লার প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ছক্কা মারার পর এক বল বাকি থাকতেই আউট হয়ে যান সুনীল নারাইন। সেইসঙ্গে ১৩৩ রানেই থামে ৭ উইকেট হারানো কুমিল্লার ইনিংস। যাতে নিশ্চিত হয় বরিশালের অসাধারণ জয়।
যে জয়ে অনন্য ভূমিকা রেখে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হন তরুণ বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানা। তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৫টি রান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তুলে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া শফিকুলও নেন ২টি উইকেট, মাত্র ১৬ রান দিয়ে। মুজিবও দুটি উইকেট নিলেও রান দেন ৩৩টি।
এদিকে, এদিন কুমিল্লা হারলেও ফাইনালে যেতে দলটি সুযোগ পাচ্ছে আরও একবার। ১৬ ফেব্রুয়ারি কায়েসের দল মুখোমুখি হবে এলিমিনেটরে খুলনাকে হারানো মিরাজ-আফিফদের চট্টগ্রামের। আর এই ম্যাচের জয়ী দলই ১৮ ফেব্রুয়ারি শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে সাকিবের বরিশালের।
দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, যথাক্রমে বিকেল সাড়ে ৫টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।
এনএস//