ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

অষ্টম বিপিএলের সেরা একাদশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৭, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

উত্তেজনাময় ফাইনালের মধ্যে দিয়ে পর্দা নেমেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের।  শ্বাসরুদ্ধকর শেষ ওভারে ফরচুন বরিশালকে এমাত্র ১ রানে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলেছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। 

এবারের আসরজুড়ে ব্যাটে-বলে যারা আলো ছড়িয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ১১ জনকে বেছে নিয়ে তৈরি করা হল বিপিএল-২০২২ এর সেরা একাদশ।

যে একাদশে ঠাঁই পাওয়া তিন বিদেশি ক্রিকেটার হলেন- চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উইল জ্যাকস, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সুনীল নারাইন এবং ফরচুন বরিশালের মুজিব উর রহমান। এই একাদশে জায়গা পেয়েছেন শিরোপাজয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চার ক্রিকেটার, রানারআপ ফরচুন বরিশাল, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্সের দুই ক্রিকেটার ও মিনিস্টার ঢাকার একজন।

এক নজরে বিপিএল-২০২২ এর সেরা একাদশ-

উইল জ্যাকস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স): এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ডানহাতি ইংলিশ ওপেনার। ১১ ইনিংসে ৪১.৪০ গড়ে ও ১৫৫.০৫ স্ট্রাইকরেটে মোট ৪১৪ রান করেছেন তিনি। পুরো আসরজুড়েই ধারাবাহিক ছিল তার ব্যাট। সেঞ্চুরি না পেলেও হাঁকিয়েছেন চারটি ফিফটি। সর্বোচ্চ স্কোর ৯২।

তামিম ইকবাল (মিনিস্টার ঢাকা): পুরো আসরে মিনিস্টার ঢাকার একমাত্র ধারাবাহিক পারফর্মার ছিলেন তামিম ইকবাল। আসরে সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার। ৯ ইনিংসে ১৩২.৫৭ স্ট্রাইকরেটে তামিম রান করেছেন ৪০৭টি। আসরের চারটি শতকের মাঝে একটির মালিক এ বাঁহাতি ওপেনার। রয়েছে তিনটি ফিফটিও।

সুনীল নারিন (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): ফাইনালের নায়ক সুনীল নারিন ৭ ইনিংসে ব্যাট করে ৩১.৮০ গড়ে করেছেন ১৫৯ রান। ১৯৮.৭৫ স্ট্রাইকরেটই বলে দেয় কতটা বিধ্বংসী ছিলেন তিনি। কোয়ালিফায়ারে ১৬ বলে ৫৭ ও ফাইনালে ২৩ বলে ৫৭ রানের দুটি টর্নেডো ইনিংস খেলে বিপক্ষ দলকে বিধ্বস্ত করেন একাই। বল হাতে নারিন ছিলেন চরম মিতব্যয়ী। ৮ ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করা নারিনের ইকোনমি ৫.৭১।

মাহমুদুল হাসান জয় (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ৯ ইনিংসে ২৩৫ রান করেছেন ডানহাতি এই তরুণ ব্যাটার। এবারের আসরে ১১৫.১৯ স্ট্রাইকরেট ও ২৬.১১ ব্যাটিং গড় তার। হাঁকিয়েছেন একটি ফিফটিও।

সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক, ফরচুন বরিশাল): ফরচুন বরিশালের হয়ে দারুণ অধিনায়কত্ব করেছেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলেও ছিলেন দুর্দান্ত। অসাধারণ পারফর্ম করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন এ অলরাউন্ডার। ১১ ইনিংসে ব্যাট হাতে তিন ফিফটিতে ২৮৪ রান করার পাশাপাশি বল হাতে শিকার করেছেন ১৬ উইকেট। এমন অনন্য নৈপুণ্যের পথে টানা পাঁচ ম্যাচে ম্যাচসেরা ক্রিকেটার হওয়ার কীর্তিও গড়েন সাকিব।

ইয়াসির আলি (খুলনা টাইগার্স): খুলনা টাইগার্সের মিডল অর্ডারের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন ডানহাতি ইয়াসির আলি। ৮ ইনিংস ব্যাট করে মাত্র একটি ফিফটি হাঁকালেও ৩১.২৮ গড়ে ও ১৩৯.৪৯ স্ট্রাইকরেটে ২১৯ রান তুলেছেন ইয়াসির। অপরাজিত ৫৭ এ আসরে তার সর্বোচ্চ ইনিংস।

মুশফিকুর রহিম (খুলনা টাইগার্স): খুলনা টাইগার্সের উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ব্যাট হাতে এক ফিফটিতে ৯ ইনিংসে করেছেন ২৫১ রান। এর মাঝে দুই ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ব্যাটিং গড় ও স্ট্রাইকরেট যথাক্রমে ৩৫.৮৫ ও ১২৯.৩৮।

মুজিব উর রহমান (ফরচুন বরিশাল): পুরো আসরজুড়ে দারুণ বোলিং করেছেন আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান। ৮ ইনিংসে মাত্র ৫.৮১ ইকোনমি রেটে শিকার করেছেন ১০টি উইকেট। পাওয়ারপ্লেতে ব্যাটারদের বেধে রাখার কাজটাও করেছেন দারুণভাবে।

মুস্তাফিজুর রহমান (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেট শিকার করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ২৭ রানে ৫ উইকেট শিকার করে কোনো ম্যাচের সেরা বোলিং ফিগারের মালিকও তিনি।

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স): ৮ ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ১৫ উইকেট শিকার করেছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ডেথ ওভারে নিজের কার্যকারিতাও প্রমাণ করেছেন সাতক্ষীরার এই তরুণ।

শহিদুল ইসলাম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স): ৮ ম্যাচে এ ডানহাতি পেসারের উইকেট শিকার ১৪টি। ফাইনালের শেষ ওভারেও স্নায়ুর লড়াইয়ে জিতেছেন শহিদুল।

দ্বাদশ ক্রিকেটার: মেহেদী হাসান রানা। ৭ ইনিংসে বল করে ১১টি উইকেট নেয়ার এই বোলারকে রাখা হয়েছে দ্বাদশ ক্রিকেটার হিসেবে।

এছাড়া আন্দ্রে ফ্লেচার, মুনিম শাহরিয়ার, ডোয়াইন ব্র্যাভো, মঈন আলীরাও ছিলেন যথাযথ ছন্দে। তবে টিম কম্বিনেশনের কারণে সেরা একাদশে ঠাঁই পাননি তাঁরা।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি