লিটনের ফিফটিতে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর
প্রকাশিত : ১৬:৫০, ৩ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৭:০০, ৩ মার্চ ২০২২
অর্ধশতক হাঁকানোর পথে লিটনের একটি সুইপ শট, ছবি- ক্রিকইনফো।
ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয়ের পর এবার সফরকারী আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মিশনে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে লিটনের ফিফটিতে সফরকারী দলকে ১৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা দিল স্বাগতিক দল।
তবে সূচনাটা ভালো হয়নি টাইগারদের। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দলীয় মাত্র ৪৭ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে সাজঘরে ফেরেন নাঈম শেখ (২), সাকিব আল হাসান (৫) ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১০)।
এই কাতারে নাম লেখান বিপিএলে দুর্দান্ত খেলার পুরস্কার হিসেবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া মুনিম শাহরিয়ারও। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মুনিম আউট হন ১৮ বলে ১৭ রান করে, রশিদ খানের বলে লেগ বিফোর হয়ে। তার আগে তিনটি চারের মার মারেন মারকুটে এই ব্যাটার।
তবে এক প্রান্ত আগলে পাল্লা দিয়ে রান তুলে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। দলীয় ৮০ রানের মাথায় রিয়াদ আউট হয়ে ফিরলে আফিফকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৩৮ বলে ৪৬ রানের জুটি। এই জুটি গড়ার পথে তুলে নেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম ফিফটিও। যাতে ১৭ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ১২৬-এ।
তবে ওয়ানডে সিরিজ ত্রাস ছড়ানো ফজল হক ফারুকির করা ওই ওভারের শেষ বলে হাঁকাতে গিয়ে ত্রিশ গজের মধ্যেই ধরা পড়েন লিটন দাস। আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের তালুবন্দি হওয়ার আগে ওয়ানডে সিরিজের সেরা রান সংগ্রাহকের ব্যাট থেকে আসে ৬০ রান। তাঁর ৪৪ বলের এই ইনিংসে ছিল চারটি চারের সঙ্গে দুটি বিশাল ছক্কার মার।
এদিকে, লিটন ফিরতেই যেন ছন্দ হারান আফিফও। এক বলের ব্যবধানে সেই ওমরজাইয়ের বলে মোহাম্মদ নবীর তালুবন্দি হন ২৪ বলে ২৫ রান করা তরুণ বাঁহাতি। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার। যাতে ১২৭ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আর সেইসঙ্গে ভেঙে যেতে বসে বাংলাদেশের দেড়শ পেরনো স্কোরের স্বপ্নও। তবে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান শেষ দিকের ব্যাটাররা। আরেক অভিষিক্ত ইয়াসির আলী ৭ বলে ৮, মাহেদী হাসান ৭ বলে ৫, নাসুম আহমেদের ২ বলে ৩ ও শরিফুলের ১ বলে ৪ রানের সৌজন্যে দেড়শ টপকাতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ২০ ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৫৫ রান।
এদিন হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুরের শেরে বাংলায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হচ্ছে আলোচিত ব্যাটার মুনিম শাহরিয়ারের। যিনি প্রথমবারের মত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন। এছাড়া টেস্ট ও ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতেও অভিষেক হচ্ছে ইয়াসির আলী চৌধুরীর।
মুনিম জায়গা পেলেও একাদশে আছেন নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ। তবে টি-টোয়েন্টির দলে ফিরলেও চোটের কারণে একাদশে ফেরা হয়নি মুশফিকুর রহিমের। একাদশে নেই তাসকিন আহমেদও। মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তাই পেস ইউনিট সামলাবেন তরুণ শরিফুল ইসলাম।
এদিকে, আফগানিস্তানের হয়েও এই ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে দুজনের। তারা হলেন- দারউইশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
বাংলাদেশ একাদশ
মুনিম শাহরিয়ার, লিটন দাস, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আফিফ হোসাইন ধ্রুব, শেখ মাহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, করিম জানাত, ফজলহক ফারুকি, কাইস আহমেদ ও দারউইশ রাসুলি।
এনএস//