সাকিব-ভিলিয়ার্সেই উজ্জীবিত ইয়াসির!
প্রকাশিত : ২২:২২, ১৯ মার্চ ২০২২

মাত্র ৪৩ বলে ফিফটি হাঁকানোর পথে ইয়াসিরের একটি দুর্দান্ত শট
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫০ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস খেলেন বাংলাদেশের তরুণ মিডল-অর্ডার ব্যাটার ইয়াসির আলী। প্রথম দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ১ রান করলেও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ইনিংসেই ফিফটির দেখা পান চট্টগ্রামের এই প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটার।
তার এমন নান্দনিক ব্যাটিংয়ের নেপথ্য কারিগর তারই স্বদেশী তারকা, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শধু তাই নয়, আছেন আরও একজন। তিনি আর কেউ নন, ৩৬০ ডিগ্রী ব্যাটার খ্যাত বিশ্বখ্যাত প্রোটিয়া মারকুটে ব্যাটার, স্বয়ং এবি ডি ভিলিয়ার্স!
জানা গেছে, প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর আমন্ত্রণেই প্রথম ওয়ানডের আগের দিন বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমে আসেন ডি ভিলিয়ার্স। সেখানেই এই তারকা ব্যাটারের সাহচার্য্য লাভ করেন ইয়াসির। এছাড়া ক্রিজে সাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধার সময় পাওয়া আত্মবিশ্বাসও ইয়াসিরের ইনিংসে বড় ভূমিকা রাখে।
তামিম-লিটন-মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার পর সাকিব ও ইয়াসির মাত্র ৮১ বলে যোগ করেন ১১৫ রান। যা বাংলাদেশের ৩৮ রানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখে বলে মনে করা হয়। এটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জয়। এর আগে তিন ফরম্যাটের কোনোটিতেই জয়ের স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ।
ইয়াসির আলী বলেন, ‘যখন আমি সাকিব ভাইকে উইকেট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, তিনি আমাকে সরাসরি বলেছিলেন, এটি একটি খুব ভালো উইকেট। তিনি আরও বলেন, আপনি ৫-১০টি বল খেললেই বুঝতে পারবেন। তারপরে আপনি আপনার শট নিতে পারেন।’
ভিলিয়ার্স প্রসঙ্গে ইয়াসির বলেন, এবি ডি ভিলিয়ার্স আগের দিন আমাদের হোটেল আসেন। কিছু বিষয়ে আমাকে টিপস দিয়েছিলেন, যা সত্যিই আমাকে সাহায্য করেছিল। আমি আফগানিস্তান সিরিজে ভাল করতে পারিনি। তাই এই ইনিংসটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড মোটেও ভালো ছিল না। তারপরও দল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদীই ছিল।
এ নিয়ে ইয়াসির বলেন, ‘এটি অবশ্যই এমন একটি জয়, যা আমরা আশা করেছিলাম। আমরা যখন মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম, তখন দলের সবাই বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল, আমরা বিদেশের কন্ডিশনেও যে কোনও দলকে হারাতে পারি। এখানেও কোনো পার্থক্য ছিল না। আমরা যখন নিউজিল্যান্ডে ছিলাম, তখন আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় জয়ের ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। পরের ম্যাচে আমাদের একই পরিকল্পনা অনুসরণ করতে হবে। তবে আমাদের এটাও নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের মনে একটি ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখা উচিত।’
শুধু ব্যাট হাতেই নয়, ফিল্ডার হিসেবেও দলে অবদান রাখেন ইয়াসির। দুর্দান্ত ক্যাচে ৮৬ রান করা রাসি ফন ডার ডুসেনকে আউট করেন তিনি। ডুসেন আউট হবার সময়ও দক্ষিণ আফ্রিকার ১২ দশমিক ৫ ওভারে ১২৩ রান দরকার ছিল। এমন অবস্থায় তার উইকেটটি গুরুত্বপূর্ণই ছিল। কারণ ডেভিড মিলারের সঙ্গে ৭০টি মূল্যবান রান যোগ করেছিলেন ডুসেন।
ইয়াসির আলী বলেন, ‘এটা একটু চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। জুটি বড় হচ্ছিল, কিন্তু আমরা তাদের চাপে রেখেছিলাম। তারা বাউন্ডারি পাচ্ছিল, কিন্তু আমরা অনেক ডট বলও করছিলাম। রান-রেট সব সময় বাড়ছিল। আমি ভাবছিলাম, আমার কিছু করা দরকার। এই উইকেটে স্পেশাল কিছু করা যায়। যে কোনো সুযোগ আমি নিতে চেয়েছিলাম। সবাই ক্যাচটির প্রশংসা করেছে।’
এনএস//