ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বিপর্যয় সামাল দিয়েই ফিরলেন রিয়াদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:১৮, ২০ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৬:২৬, ২০ মার্চ ২০২২

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

ইতিহাস গড়ার হাতছানিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই পিঙ্ক প্রোটিয়াদের বোলিং তোপের মুখে শুরুতেই ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ৩৪ রানেই অর্ধেকটা খুইয়ে বসা বিপর্যস্ত দলকে টেনে তোলার কাজ করেন আফিফ-রিয়াদ। তবে আফিফের সঙ্গে জুটিতে ৬০ রান যোগ করেই সাজঘরে ফেরেন রিয়াদ। যাতে ৯৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে রোববার সকালে জোহানেসবার্গের ওয়ানডারার্সে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

প্রথম দুটি ওভার দেখেশুনে কাটালেও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে লুঙ্গি এনগিডির করা দ্বিতীয় বলটি তামিমের গ্লাভসে লেগে উঠে যায় উপরে, শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে সহজেই তা তালুবন্দী করেন কেশভ মহারাজ। ফলে মাত্র ১ রানেই সাজঘরে ফিরে যেতে হয়েছে এই বাঁহাতি ওপেনারকে।

সেইসঙ্গে নিজের ৩৩তম জন্মদিনটি রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না তামিম। আউট হওয়ার আগে মাত্র ১ রান করতে পেরেছেন টাইগার অধিনায়ক। এরপর ছয়টি বল খেলেও কোনো রান যোগ করার আগেই কাগিসো রাবাদার প্রথম শিকার হন সাকিব আল হাসান। যার ফলে সাকিব-তামিমের বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। 

লুঙ্গি এনগিদির করা আগের ওভারে এক বাউন্ডারিসহ ৮ রান নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিল টাইগাররা। কিন্তু সেই মিশনে সফরকারীদের এগোতে দিলেন না প্রোটিয়া তারকা পেসার কাগিসো রাবাদা। তার করা পরের ওভারেই সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে আগের ম্যাচের ফিফটি ম্যান লিটন দাসকে। ২১ বলে ১৫ রান করে ফেরেন তিনি।

রাবাদার ভেতরে ঢোকা বাউন্সারে ধরা পড়েন টাইগার ওপেনার। হালকা সুইং করে ভেতরে ঢুকছিল সেই ডেলিভারিটি। বলের লাইন থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেও বাঁচতে পারেননি লিটন। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে।

একই ওভারে সাজঘরে ফিরতে পারতেন পাঁচ নম্বরে নামা ইয়াসির আলীও। স্লিপে দাঁড়িয়ে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন জানেমান মালান। তবে পরের ওভারে এসেই তাকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান রাবাদা। মহারাজের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে এই ফিফটিম্যানের ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে মাত্র ২ রান।

অবশ্য এর আগেই মুশফিককে সাজঘরে ফেরান আরেক পেসার ওয়েন পারনেল। বাঁহাতি এই পেসারের লেগ বিফোরের শিকার হন ১২ রান করা মুশফিক। আর এরইসঙ্গে মাত্র ৩৪ রানেই ইনিংসের অর্ধেকটা খুইয়ে বসে বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় তরুণ আফিফকে নিয়ে খাঁদের কিনার থেকে দলকে টেনে তোলার কাজ করে যাচ্ছিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে যোগও করেন ৬০টি মূল্যবান রান। তবে এরপরই ঘটে ছন্দ পতন। নিজের স্পিন ভেল্কিতে রিয়াদকে শর্ট লেগে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাবরাইজ শামসি। স্বাগতিক দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

যার ফলে ৯৪ রানের মাথায় পতন ঘটে বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের। ৩টি চারের মারে ২৫ রান করে ফেরেন ৪৪ বল খেলা মাহমুদউল্লাহ। আর আফিফের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মেহেদী মিরাজ। এসেই অবশ্য শামসিকে করেন বাউন্ডারি ছাড়া। যাতে একশ পার হয় বাংলাদেশের স্কোর।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৩৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১১০ রান। আফিফ হোসাইন ৪২ রানে এবং মেহেদী মিরাজ ৬ রানে ক্রিজে আছেন। এ অবস্থা থেকে তারা দলকে কতদূর টেনে নিতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি