স্মিথ ঝড়ে ২০৫ করেও হারল ব্যাঙ্গালোর
প্রকাশিত : ০৭:১৮, ২৮ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ০৭:২১, ২৮ মার্চ ২০২২
মাত্র ৮ বলে ২৫ করে ম্যাচ সেরা ওডিন স্মিথ
স্কোরবোর্ডে দুই শতাধিক রান তুলেও হেরে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রোববার রাতে পাঞ্জাব কিংস তাদের হারিয়ে দিল ৫ উইকেটে। ফ্যাফ ডু প্লেসিস, বিরাট কোহলিরা ভালো খেলা সত্ত্বেও শেষ হাসি হাসল পাঞ্জাব। একার হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন ৮ বলে ২৫ করা ওডিন স্মিথ।
রাতের ওই ম্যাচে আরসিবির বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ওপেন করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেননি ফ্যাফ ডু প্লেসিস এবং অনুজ রাওয়াত। প্রথম উইকেট জুটিতেই উঠে যায় ৫০ রান। ব্যক্তিগত ২১ রানে রাওয়াত ফেরার পর আর রোখা যায়নি আরসিবিকে।
দ্বিতীয় উইকেটে কোহলিকে নিয়ে প্লেসিস যোগ করেন ১১৮ রান। যে জুটিতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন প্লেসিসই। অনেকেই মনে করেছিলেন, নেতৃত্বের চাপ হয়তো এই প্রোটিয়াকে বিপদে ফেলতে পারে। কিন্তু নিজ দেশকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দিয়ে আসা ডু প্লেসিস একজন পোড়খাওয়া ক্রিকেটার।
শুরুতে ধীর গতির হলেও বিন্দুমাত্র চাপ ছাড়াই পাঞ্জাবের বোলারদের মাঠের বাইরে পাঠাতে থাকেন পরের দিকে। সব থেকে বেশি মার খান ওডিন স্মিথই। ৪ ওভারে ৫২ রান দেন তিনি। তবে আর্শদীপের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে খেলেন ৫৭ বলে ৮৮ রানের মারদাঙ্গা ইনিংস। যে ইনিংসে ছিল ৩টি চারের বিপরীতে ৭টি ছয়ের মার।
জুটির শেষের দিকে হাত খুলতে দেখা যায় কোহলিকেও। তবে আরসিবি যে দুইশ পার করা স্কোর পেল, তার পিছনে মূল কৃতিত্ব দীনেশ কার্তিকেরই। কলকাতায় হয়ে খেলে গত মৌসুমে খুব বেশি সাফল্য পাননি। দল বদলেই যেন ফিরলেন পুরনো ছন্দে। ক্রিকেটীয় পরিভাষায় শেষের দিকে ‘পিঞ্চ হিটিং’ করলেন কার্তিক।
১৪ বলে তার অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে ছিল সমান তিনটি করে চার ও ছয়ের মার। এছাড়া কোহলি ২৯ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন। যার ফলে নির্ধারিত ওভারে ২০৫ রান তোলে আরসিবি।
ধরে নেয়া হয়েছিল, প্রতিপক্ষের এই বিপুল রান চাপে ফেলবে পাঞ্জাবকে। কিন্তু মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শিখর ধাওয়ানের ওপেনিং ব্যাটিং দেখে তা বোঝা যায়নি একটুও। গতবার মায়াঙ্কের সঙ্গে রাহুলের জুটি দারুণ সফল ছিল। এবার রাহুল অন্য দলে। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই মায়াঙ্ক-শিখর জুটিও সফল হওয়ার বার্তা দিয়ে গেল।
প্রথম উইকেট জুটিতেই উঠল ৭১ রান। ২৪ বলে ৩২ করা মায়াঙ্ক ফেরার পরও ভালোই খেলছিলেন ধাওয়ান। কিন্তু নতুন দলের হয়ে প্রথম অর্ধশতকটা পাওয়ার আগেই ফিরতে হল তাকেও। ২৯ বলে ৪৩ করে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার। যাতে ১১৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাঞ্জাব।
এর পরেই নামেন ভানুকা রাজাপাক্সে। শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার এবারই প্রথম আইপিএল খেললেন। প্রথম ম্যাচেই চারটি বিশাল ছক্কার সাহায্যে করলেন শিখরের সমান ৪৩ রান, তবে বল খেললেন ২২টি। বেশি চড়াও হয়েছেন স্বদেশী বোলার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকেই।
১৪তম ওভারের শুরুতেই ১৩৯ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারালেও অবশ্য জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায় পাঞ্জাবের। যদিও তখন মোহাম্মদ সিরাজের দাপটে খেলা কিছুক্ষণের জন্য হলেও ঘুরে যায় আরসিবির পক্ষে। ডানহাতি এই পেসার পর পর ভানুকা এবং রাজ বাওয়াকে (০) তুলে নেন। কিন্তু শেষ দিকে শাহরুখ খান এবং ওডিন স্মিথের ঝোড়ো ব্যাটে ম্যাচ জিতে নেয় পাঞ্জাব।
মাত্র ৮ বল খেলে তিন ছক্কায় ২৫ রান তুলে নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ক্যারিবীয় দানব। অন্যদিকে, ২০ বলে ২৪ করে অপরাজিত থাকেন শাহরুখ খান। সিরাজ ৫৯ রান দিয়ে ২টি এবং হাসারাঙ্গা ৪০ রান দিয়ে ১টি উইকেট লাভ করেন।
এনএস//