শেষ মুহূর্তের গোলে পয়েন্ট হারাল আর্জেন্টিনা
প্রকাশিত : ১০:১৪, ৩০ মার্চ ২০২২
ছন্দময় ফুটবল খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। খুব বেশি সুযোগও তৈরি করতে পারেনি দলটি। যার খেসারত দিতে হলো শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে। তবে তরুণ ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেসের নৈপুণ্যে জয়ের পথেই ছিল তারা। কিন্তু যোগ করা সময়ে ব্যবধান ঘুচিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতে একুয়েডর।
বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। একুয়েডরের গোলটি করেন এনের ভালেন্সিয়া।
ইকুয়েডরের ঘরের মাঠে এগিয়ে ছিল লিওনেল মেসির দল। যখনই মনে হচ্ছিল জুলিয়ন আলভারেসের করা গোলেই নির্ধারণ হবে ম্যাচের ভাগ্য, তখন যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটের মাথায় গোল হজম করে বসে আর্জেন্টিনা। এতে ১-১ ব্যবধানে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভগি করে মাঠ ছাড়তে হয় মেসিদের।
ম্যাচের ২৪তম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করেই আর্জেন্টিনা। বক্সের বাম পাশ থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস ধরে দারুণ দক্ষতায় লক্ষ্যভেদ করেন জুলিয়ান আলভারেস। ৪১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। গোলরক্ষক বরাবর হেড করে সুযোগ নষ্ট করেন নিকোলাস ওটামেন্দি।
বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি একুয়েডরের পেরভিস এস্তুপিনান। ফলে ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্জেন্টিনার খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। সেই সুযোগে আক্রমণে মনোযোগী হয় একুয়েডর। ৬২তম মিনিটে ফরোয়ার্ড আনহেল মেনার বুলেট গতির শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
খানিক পর দুই দলের খেলোয়াড়রা বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। দুই দলের ওতামেন্দি ও এস্ত্রাদাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কোলানিও দেখেন কার্ড।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট ০-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনার জয় যেখানে নিশ্চিত মনে হচ্ছিল, তখনই নাটকীয়তার জন্ম দেয় ইকুয়েডর। যোগ করা সময়ের তিন মিনিটের মাথায় ভিএআর চেকে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকরা।
ডি-বক্সে নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ফরোয়ার্ড ভালেন্সিয়ার স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি; কিন্তু বল হাতে রাখতে পারেননি। আলগা বল পেয়ে ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেন্সিয়া।
এতে ১-১ গোলে শেষ হয় ম্যাচটি। তাতে টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত রইল গত বছরেই কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা দলটি। যার শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে।
এই ড্রয়ে ১৭ ম্যাচে ১১ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে স্কালোনির দল আছে দুই নম্বরে। সমান ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। আর ২৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে একুয়েডর।
এএইচ/