মন্টে কার্লোতে ফিরছেন জকোভিচ, প্রস্তুত আলকারাজ
প্রকাশিত : ১৭:০৫, ৯ এপ্রিল ২০২২
জকোভিচ ও আলকারাজ
আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য মন্টে কার্লো মাস্টার্স টুর্নামেন্ট দিয়েই কোর্টে ফিরছেন নোভাক জকোভিচ। এদিকে দীর্ঘদিন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করে রাখা জকোভিচের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ইতোমধ্যেই বিবেচিত হওয়ায় টিনএজার কার্লোস আলকারাজও টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন।
গত চার মাসে মাত্র একটাই টুর্নামেন্টে খেলেছেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় জকোভিচ। করোনা ভ্যাকসিন বিতর্কে মেলবোর্নে ১০ম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে বঞ্চিত হওয়া এই সার্বিয়ান তারকা এখন সব কিছু পিছনে ফেলে নতুন করে শুরু করতে চান। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর ফেব্রুয়ারিতে দুবাইয়ে তিনি একটি মাত্র টুর্নামেন্ট খেলেছেন। ঐ টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলেই বিদায় নেন। এরপর জকোভিচ ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মিয়ামি মাস্টার্স থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নেন।
যখন তিনি কোর্টের বাইরে ছিলেন তখনই মিয়ামি ওপেনের শিরোপা জিতে পুরো টেনিস বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী আলকারাজ। বিশ্বের তৃতীয় কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কোনো মাস্টার্স ইভেন্টের শিরোপা জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এই স্প্যানিশ টিনএজার।
দুইবারের মন্টে কার্লো চ্যাম্পিয়ন ৩৪ বছর বয়সী জকোভিচের সঙ্গে হয়ত আলকারাজের কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হতে পারে। ২০২২ সালে ইতোমধ্যেই ২০টি ম্যাচ খেলে আলকারাজ ১৮টিতেই জয়ী হয়েছেন। এক বছরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ের ১৩৩তম স্থান থেকে ১১‘তে নিজেকে উন্নীত করেছেন এই টেনিস সেনসেশন।
ইন্ডিয়ার ওয়েলসের সেমিফাইনালে তিন সেটের কঠিন লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত আলকারাজকে পরাজিত করেছিলেন রাফায়েল নাদাল। মিয়ামি ওপেন জয়ের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আলকারাজকে অভিনন্দনও জানিয়েছিলেন নাদাল।
এদিকে, জকোভিচের অনুপস্থিতিতে নাদাল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয় করে সর্বোচ্চ ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক হবার কৃতিত্ব দেখান। যদিও পাঁজরের ইনজুরির কারণে মন্টে কার্লোতে খেলতে পারছেন না ৩৫ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ তারকা। চলতি মাসের শেষে মাদ্রিদ ওপেনের আগে সুস্থ হয়ে ওঠার আশা করছেন এই স্প্যানিয়ার্ড।
এদিকে বিশ্বের দুই নম্বর খেলোয়াড় ও ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন দানিল মেদভেদেভও হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের কারণে খেলছেন না মন্টে কার্লোতে। হাতের অস্ত্রোপচারের কারণে মন্টে কার্লো, মাদ্রিদ ও রোম ওপেনে খেলবেন না ষষ্ঠ বাছাই মাত্তেও বেরাত্তিনিও।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গ্রীসের পাঁচ নম্বর খেলোয়াড় স্টিফানোস টিসিটসিপাস অবশ্য খেলার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন। গত বছর ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে খেলেছিলেন টিসিটসিপাস। ২০১৪ সালের ফাইনালে রজার ফেদেরারকে পরাজিত করে শিরোপা জয় করা স্ট্যান ওয়ারিঙ্কাও অধীর আগ্রহে মন্টে কার্লোতে নামার অপেক্ষায় আছেন।
তিন গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ৩৭ বছর বয়সী ওয়ারিঙ্কা বর্তমানে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের ২৩৬তম স্থানে নেমে গেছেন। গত বছর বাম পায়ে দুটি অস্ত্রোপচারের কারণে তিনি দীর্ঘদিন কোর্টের বাইরে ছিলেন। ২০২১ সালের মার্চে কাতারে তিনি সর্বশেষ এটিপি ট্যুর খেলেছিলেন। গত মাসে মারবেলাতে দ্বিতীয় টায়ারের চ্যালেঞ্জার ইভেন্টের মাধ্যমে কোর্টে ফিরেছেন ওয়ারিঙ্কা। তবে প্রথর রাউন্ডেই তিনি বিশ্বের ১৩১তম র্যাঙ্কধারী সুইডিশ এলিয়াস ইয়েমারের কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেন।
এদিকে, ২০১৯ সালের পর এ বছরই প্রথমবারের মত স্টেডিয়াম পূর্ণ দর্শক নিয়ে মন্টে কার্লো মাস্টার্স আয়োজিত হতে যাচ্ছে। করোনার কারণে ২০২০ সালের ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি, আর ২০২১ সালে কোনো দর্শক প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
এনএস//