শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বার্সার নাটকীয় জয়
প্রকাশিত : ০৯:৩৫, ১১ এপ্রিল ২০২২
নিজেদের দোষে চার মিনিটের মধ্যে লেভান্তেকে দুটি পেনাল্টি ‘উপহার’ দিয়ে বসে বার্সেলোনা। একটি কাজে লাগাতে পারল লেভান্তে, অন্যটি রুখে দিলেন টের স্টেগেন। পরের চার মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে যায় বার্সা। কিন্তু প্রতিপক্ষ আরেকটি পেনাল্টি পেলে শঙ্কায় পড়ে তারা। এত কিছুর পরেও ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে জাভির দল।
রোববার রাতে লেভান্তের মাঠে লা লিগার ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। সেভিয়াকে পেছনে ফেলে দুই নম্বরে উঠে এলো দলটি। তাতে শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের ওপর চাপ বাড়াল জাভির শিষ্যরা।
ঘটনাবহুল এই ম্যাচের তিন পেনাল্টি আর পাঁচ গোল সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে।
প্রথমার্ধে দারুণ খেলেও গোল পায়নি লেভান্তে। দুবার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন আর এরিক গার্সিয়ার কল্যাণে রক্ষা পায় বার্সা।
বিরতির পর দানি আলভেসের ভুলে প্রথম পেনাল্টি পায় লেভান্তে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার সনকে ডি-বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন মোরালেস।
এর দুই মিনিট পর ডি-বক্সে গার্সিয়ার হাতে বল লাগলে আবার পেনাল্টি পায় লেভান্তে। সেই পেনাল্টি ঠেকিয়ে বার্সাকে আরও পিছিয়ে পড়ার হাত থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক টের স্টেগেন।
সেই পেনাল্টি সেভের পরই দুই মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং ও নিকো গঞ্জালেসকে তুলে পেদ্রি ও গাভিকে নামান বার্সা কোচ। ৫৯তম মিনিটে নিজেদের প্রথম গোল পায় বার্সা। দেম্বেলের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোলটি করেন পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং।
৬৩তম মিনিটে সফরকারীরা এগিয়ে যায় খানিক আগেই বদলি নামা দুই খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে। গাভির পাস ডি-বক্সে পেয়ে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন পেদ্রি।
তবে ৮২তম মিনিটে ডি-বক্সে বার্সেলোনার ক্লেমোঁ লংলে প্রতিপক্ষের দানি গোমেসকে ফেলে দিলে তৃতীয় পেনাল্টি পায় লেভান্তে। স্কোরলাইন ২-২ করেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার গনসালো মেলেরো। তাতে ড্রয়ের শঙ্কা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বার্সা শিবিরে।
তখন বার্সা কোচ উসমান দেম্বেলের জায়গায় আনেন লুক ডি ইয়ংকে। এই ডাচ ফরোয়ার্ড যোগ করা সময়ে লেভান্তের জালে বল পাঠিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসান বার্সেলোনা সমর্থকদের।
এই জয়ের ফলে সেভিয়াকে টপকে লা লিগার ২য় অবস্থানে চলে আসে বার্সেলোনা।
৩০ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৯ ড্রয়ে বার্সেলোনার ৬০ পয়েন্ট। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে নেমে গেছে সেভিয়া। তাদের সমান ৩১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদ।
এএইচ/