৩ বছর পর সাব্বিরের ব্যাটে সেঞ্চুরি!
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ১৮ এপ্রিল ২০২২
সাব্বির রহমান রুম্মন
চলমান ডিপিএলের গ্রুপ পর্বে ব্যাট হাতে রান খরায় ভুগছিলেন সাব্বির রহমান রুম্মন। অবশেষে রানের দেখা তো পেয়েছেন-ই, সঙ্গে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখাও। ১১১ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির। যে সেঞ্চুরিতে চড়ে রোববার সুপার লিগে ডার্বি ম্যাচে ৩২৬ রান করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
চলমান ডিপিএলে এখন পর্যন্ত একটি ফিফটিও হাঁকাতে পারেননি সাব্বির। গ্রুপ পর্বে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ৪৬ রানের ইনিংসটিই ছিল সর্বোচ্চ। তবে সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে শুধু ফিফটি নয়, দেখা পেয়েছেন সেঞ্চুরির।
২০১৬ সালে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে শেখ জামালের বিপক্ষে ১০০ রান করেছিলেন। সাব্বিরের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি চতুর্থ শতক। তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে শেষবার তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন তিনি। এছাড়া পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরি ২০১০ সালে। রাজশাহীর হয়ে খুলনার বিপক্ষে ১১২ রান করেছিলেন।
এদিন সাভারে রূপগঞ্জ ডার্বি ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দলের ৩৩ রানের মধ্যেই সাব্বির হোসেন ও রকিবুল হাসানকে হারায় লিজেন্ডসরা। পরে তিনেই ব্যাট করতে নামেন সাব্বির রহমান।
চলমান ডিপিএলে দারুণ ফর্মে থাকা নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্কোর বড় করতে থাকেন সাব্বির রুম্মন। দলের স্কোর যখন শতরান পার হয় তখন ৫৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন সাব্বির। সেইসঙ্গে নাঈমের সঙ্গেও গড়েন শতরানের জুটি।
এ দুজনের ১১৩ রানের জুটি ভাঙেন শরিফউল্লাহ। ৩৩ রান করা নাঈমকে ফেরান তিনি। নাঈম বিদায় নেয়ার পরই সেঞ্চুরি হাঁকান সাব্বির। মাত্র ৮৮ বলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এ ব্যাটার। সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় তাকে।
চিরাগের সঙ্গে ৯৬ রানের জুটি গড়ার পর মুকিদুলের বলে সাজঘরে ফেরেন ১১১ বলে ১২৫ রান করা সাব্বির। তার ইনিংসে ছিল সমান ৮টি করে চার ও ছয়ের মার। সাব্বির আউট হলে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন চিরাগ।
সাব্বিরের মতোই সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল তারও। তবে এই ভারতীয়ের ইনিংস থেমে যায় ৬৬ বলে ৯৫ রানেই। অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন চিরাগ। সাব্বির ও চিরাগের ব্যাটে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান তোলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
জবাব দিতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তুলেছে রুপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। সাদ ৫৯ রানে এবং শরিফউল্লাহ ২৩ রানে ক্রিজে আছেন।
এদিকে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে রান ফোয়ারা ছুটছেই। মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ৭৭ রান করেন তিনি। এছাড়া মিঠুন ৪৪, ইয়াসির ৪৩ ও মেহেদী ৩৪ রান করেন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৯ উইকেটে ২৭৩ রান জড়ো করেছে প্রাইম ব্যাংক।
সুপার লিগের আরেক ম্যাচে রবিউল ইসলাম রবির ৫৮, সোহান ও পারভেজ রসুলের দুটি ৭৩ রানের ইনিংসে ভর করে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ২৭২ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
এনএস//