ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম টেস্টের ‘ফল’ প্রথম দিনেই জানত শ্রীলঙ্কা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ২০ মে ২০২২

পঞ্চম দিনের পুরোটাই ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা ড্র করেছে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। চট্টগ্রাম টেস্টের ‘ফল’ যে ড্র হবে- এই কথা টেস্ট শুরুর দিনেই সফকারীরা বুঝে গেছিল বলেই দাবি করলেন দলটির অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম চার দিনই অতবাহিত হয় দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষ হতেই। চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুটি উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম দিনের প্রথম ভাগে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় ভাগে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ ড্র করে সফরকারীরা। এই ড্র নিয়ে তাই যথারীতি সন্তুষ্ট দলটি।

ম্যাচ শেষে ধনাঞ্জয়া বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই জানতাম যে, এই টেস্ট ড্র হবে। এই টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের অবশ্য সামান্য সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই ছিল না। এই ড্র করে আমরা খুব খুশি।’

ম্যাচ ড্র হলেও ম্যাচসেরার পুরস্কারটি নিজের করে নিয়েছেন সফরকারী দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেও প্রথম ইনিংসে খেলেন ১৯৯ রানের এক মাহাকাব্যিক ইনিংস। যে ইনিংসে চড়েই মূলত চারশ’ ছোঁয়া রানের স্কোর পায় শ্রীলঙ্কা।

সাবেক এই লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট ছিল ব্যাটিংসুলভ, তবে বাংলাদেশ আমাদেরকে অনেক পরীক্ষা নিয়েছে। বাংলাদেশ দলকে কৃতিত্ব দিতেই হবে, তারা আমাদের কোনো সহজ সুযোগ দেয়নি। রান বের করতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।’

দুই সতীর্থের মুখে খই ফুটলেও আক্ষেপ ঝরেছে লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের কণ্ঠে। প্রথম ইনিংসে আরও বেশি রান করতে না পারার আফসোসে পুড়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে স্পিনারদের দোষারোপ করেছেন করুনারত্নে।

তিনি বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। আমাদের আরও বেশি রান করা দরকার ছিল, কিন্তু আমরা পারিনি। তবে আমাদের দুই ফাস্ট বোলার ভালো করেছে। এই পিচে যা সহজ কাজ ছিল না। স্পিনাররা ভালো করলেও বেশি রান দিয়ে দেয়ার জন্য দোষী। তারা অবশ্যই এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিবে।’

লঙ্কান এই ওপেনার আরও বলেন, ‘আপনি যদি ইতিবাচকভাবে খেলেন ও চেষ্টা করেন, তাহলে জিততে পারবেন। আমরা ভিন্ন কিছু চেষ্টা করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কিছু বাজে শট খেলেছিলাম এবং তারপর কৌশল পরিবর্তন করতে হয়েছিল। দুর্ভাগ্যবশত, শেষ দিনে আমরা বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে পারিনি।’

প্রতিপক্ষ অধিনায়কের মতই বোলারদের নিয়ে আক্ষেপ ঝরেছে স্বাগতিক অধিনায়কের কণ্ঠেও। ম্যাচ শেষে মোমিনুল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়, পেস বোলাররা আরেকটু ভালো বল করতে পারত। তাদের প্রতি আমাদের সবার প্রত্যাশাও বেড়েছে। প্রথম ইনিংসে ওরা যদি আরেকটু ভালো বল করত… দ্বিতীয় ইনিংসে তো শরিফুল ছিল না। খালেদ আরেকটু ভালো লেন্থে বল করলে ভালো হত।’

তবে অধিনায়ককে তৃপ্ত করেছে তিন স্পিনারের পারফরম্যান্স। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের বোলিং ‘স্পোর্টিং’ উইকেটেও ছিল সন্তোষজনক। 

মোমিনুল হক বললেন, ‘এই উইকেটে স্পিনারদের উইকেট পাওয়া খুব কঠিন। সাকিব ভাইয়ের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওরা ভালো করেছে, সাকিব ভাইও রান নিয়ন্ত্রণ করেছেন। নাঈম-তাইজুলও ভালো করেছে। উইকেট বিচারে স্পিনাররা খুব ভালো বল করেছে।’

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি