ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

আশরাফুলের কীর্তিমাখা গায়ানায় কী ফিরে আসবে সুখস্মৃতি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ৫ জুলাই ২০২২

মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাকিব আল হাসান

মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাকিব আল হাসান

১৫ বছর আগের কথা। ওয়ানডে ক্রিকেটে তখন মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় চমক উপহার দিয়েছিল হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয় টাইগাররা।

টেন্ডুলকার, দ্রাবিড়, গাঙ্গুলীদের ‘ফেরার টিকিট’ ধরিয়ে দিয়েছিলেন মাশরাফি-আশরাফুলরা। পরাশক্তি ভারতকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি বাংলার দামাল ছেলেরা, সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ক্যারিবিয়ান সাগরে ডুবিয়েছিল বাংলাদেশ। আশরাফুলের কীর্তিতে প্রথমবারের মতো ভারতের পর প্রোটিয়াবধের ইতিহাসও গড়েছিল টাইগার বাহিনী। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ওই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল।

চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরাও এখন আছেন সেই গায়ানায়। আশরাফুলের কীর্তিমাখা শহরে উইন্ডিজদের বিপক্ষে সফরের বাকি চারটি ম্যাচ এখানেই খেলবেন টাইগাররা। 

একটি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলে পয়মন্ত গায়ানাতেই উইন্ডিজ সফরের ইতি টানবে বাংলাদেশ দল। ৭ জুলাই প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হবে রিয়াদ বাহিনী। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।

ডমিনিকায় প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৩৫ রানে পরাজিত করে স্বাগতিকরা। এর আগে দুই টেস্টেও হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। চলতি সফরে তাই এখনও জয়শূন্য টাইগাররা।

১৫ বছর আগে গায়ানায় ইতিহাস গড়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রাক্তন অধিনায়কের সেই কীর্তির প্রেরণায় তৃতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠুক লিটন-মোস্তাফিজরা, এমনটাই প্রত্যাশা সবার। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়।

২০০৭ বিশ্বকাপে ৭ এপ্রিল এই প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামেই বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি হয়েছিল। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গ্রায়েম স্মিথের শক্তিশালী দল। তামিম ইকবাল-জাভেদ ওমরের ৪২ রানের ওপেনিং জুটিতে শুরুটা ভালোই ছিল। 

কিন্তু তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শন পোলক, আন্দ্রে নেল, মাখায়া এনটিনি, জ্যাক ক্যালিস, চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টদের তোপ সামলে পঞ্চম উইকেটে ৭৬ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ আশরাফুল-আফতাব আহমেদ।

দলীয় ১৬০ রানে আফতাব আউট হলেও আশরাফুল খেলেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। অন্তিম ওভারের প্রথম বলে আউট হন ডানহাতি এ ব্যাটার। তার আগে খেলেন ৮৩ বলে ৮৭ রানের এক মহামূল্যবান, ঝকঝকে ইনিংস। যেখানে ছিল ১২টি চারের মার। 

এছাড়া তামিম ৩৮, জাভেদ ১৭, আফতাব ৩২ এবং শেষ দিকে মাশরাফির ১৬ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৫১ রান। প্রোটিয়াদের পক্ষে আন্দ্রে নেল নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট।

জবাবে টাইগারদের ঘূর্ণি যাদুতে পথ হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মোহাম্মদ রফিক, আব্দুর রাজ্জাক ও সাকিব মিলে বাঁহাতি স্পিনে নাকাল করেন স্মিথ, বাউচার, ক্যালিস, ডি ভিলিয়ার্সদের। ৪৮.৪ ওভারে ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় দলটি। 

ক্যালিস ৩২, হার্শেল গিবস অপরাজিত ৫৬, স্মিথ ১২, ডি ভিলিয়ার্স ১৫, বাউচার ১২, জাস্টিন কেম্প ৭, অ্যাশওয়েল প্রিন্স ৭ ও পোলক ১৭ রান করেন।

বাংলাদেশের হয়ে রাজ্জাক ৩টি, সৈয়দ রাসেল ও সাকিব ২টি করে এবং রফিক ১টি উইকেট পান। ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন মোহাম্মদ আশরাফুল।

বাংলাদেশ দল এবারও কী পারবে সেই একই কীর্তি গড়তে। উত্তরটা জানতে অপেক্ষা তো করতেই হবে।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি