ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

টি-টোয়েন্টিতে ফ্রেঞ্চ ক্রিকেটারের বিশ্বরেকর্ড!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৮, ২৬ জুলাই ২০২২

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডকে ফুটবলের পরাশক্তি হিসেবেই জানে সবাই। সুইজারল্যান্ড এখনো বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও ফ্রান্সের দখলে আছে দুটি বিশ্বকাপ শিরোপা। তবে এই দেশ দুটিও যে ক্রিকেট খেলে এ তথ্য জেনে হয়তো অনেকেই ভ্রু কুচকাবেন। 

যদিও বর্তমানে এটাই বাস্তবতা। তবে ইউরোপের শিল্পোন্নত এই দেশ দুটি শুধু যে ক্রিকেট খেলাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে- তা কিন্তু নয়, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই দল মিলে জন্ম দিয়েছে এক বিশ্বরেকর্ডেরও। 

সোমবার (২৫ জুলাই) ফিনল্যান্ডের ভানুতায় ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ইউরোপিয়ান উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বে ঘটেছে এমনই এক বিশ্বরেকর্ড।

ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল আফগানিস্তানের ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইয়ের দখলে। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০ বছর ৩৩৭ দিন বয়সে শতক হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। 

প্রায় চার বছরের ব্যবধানে ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ানের সে রেকর্ডটি এদিন ভেঙে দিলেন ফ্রান্সের ওপেনার গুস্তাভ ম্যাকেওন। মাত্র ১৮ বছর ২৮০ দিন বয়সে শতক হাঁকিয়ে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েন ফ্রান্সের এই তরুণ।

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে ৯টি ছক্কা ও ৫টি চারের মারে মাত্র ৬১ বলে ১০৯ রানের তাণ্ডুবে ইনিংস খেলেন ম্যাকেওন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফ্রান্সের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও তিনি।

ক্যারিয়ারে এটাই ছিল ম্যাকেওনের মাত্র দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এবারের বাছাইপর্বেই ২৪ জুলাই 'বি' গ্রুপের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় ১৮ বছর বয়সী এ ক্রিকেটারের। প্রথম ম্যাচেই ৫৪ বলে ৭৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন এই তরুণ। তবে সুইসদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকালেও এদিন পরাজিত হয় তার দল।

ম্যাকেওনের এমন বিধ্বংসী ইনিংসের পরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৫৭ রান সংগ্রহ করে ফ্রান্স। জবাবে এক উইকেট হাতে রেখে শেষ বলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সুইজারল্যান্ড। যে জয় এসেছে আবার ম্যাকেওনের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই। 

১৮ বছর বয়সী এই তরুণের করা শেষ ওভারে সুইসদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। সুইসদের পক্ষে আলি নাইয়ার ও অশ্বিন বিনোদ মিলে প্রয়োজনীয় ওই রান তুলে নেন। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান। আলি নাইয়ার ম্যাকেওনের বলে চার মেরে কাজটি সেরে ফেলেন।

ফ্রান্স ক্রিকেট দল আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ করে ১৯৯৮ সালে। ঠিক যে বছরে ব্রাজিলকে হারিয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জেতেন জিদান-অঁরিরা। 

অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড সহযোগী সদস্য পদ পেয়েছে গত বছর। আইসিসির টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ে ৫৩ নম্বরে আছে ইউরোপের এই দেশটি। 

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি