চাইলেই রাসেল-পোলার্ড হতে পারব না: মাহেদী
প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ২৬ জুলাই ২০২২
শেখ মাহেদী হাসান
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘পাওয়ার হিটিং’ এক আক্ষেপের নাম। যার অভাবে বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় স্কোর গড়তে পারছে না দল। কেননা এই ফরম্যাটে সফল হতে স্কিল, টেকনিকের পাশাপাশি ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিংয়েও দক্ষতা থাকতে হয়।
কিন্তু টপ অর্ডার হোক, মিডল অর্ডার কিংবা লেট অর্ডার- বাংলাদেশের ব্যাটারদের এই জায়গাতে ঘাটতি থেকেই গেছে।
জাতীয় দলের বোলিং অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান এক প্রকার স্বীকারই করে নিয়েছেন পাওয়ার হিটিংয়ে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কথা। তার মতে, ‘আমরা চাইলেই আন্দ্রে রাসেল কিংবা কিয়েরন পোলার্ডের মতো পাওয়ার হিটার হতে পারবে না।’
সোমবার মধ্যরাতে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিন ক্রিকেটার। মঙ্গলবার একই সময়ে ঢাকা ছাড়বেন বাকি ক্রিকেটাররাও। সেই বহরে আছেন অফস্পিনার মাহেদী হাসানও। দেশ ছাড়ার আগে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পাওয়ার হিটিংয়ের প্রসঙ্গ সামনে আনেন এই ক্রিকেটার।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমরা বাংলাদেশি, আমরা কেউই পাওয়ার হিটার না। চাইলেই রাসেল বা পোলার্ড হতে পারবো না। সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু আছে তা দিয়ে যতটা উন্নতি করা যায়।’
পাওয়ার হিটিংয়ে উন্নতির জন্য পাওয়ার হিটিং কোচ দরকার বলেও মনে করেন মাহেদী, ‘হ্যাঁ, পাওয়ার হিটিং কোচের দরকার। তবে যে স্কিল আছে, কোচ হয়তো ১০ শতাংশ এগিয়ে দেবে। কিন্তু ৩০ শতাংশকে ১০০ শতাংশে পৌঁছে দিতে পারবে না। আমরা জন্মগতভাবেই এরকম। মনে হয় না রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব।’
সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে খেলা সম্ভব নয় বলেই জানালেন মারকুটে ব্যাটিং করা এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ১৫ বছরের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছি। হলে আরও আগেই হয়ে যেত। যেহেতু হচ্ছে না, এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। পাওয়ার হিটিংয়ের কথা সবসময়ই আসে। কিন্তু এটা ঠিক না। সামর্থ্যের বাইরে চাইলেও করতে পারবো না। এটা আপনাদের সবাইকে বিশ্বাস করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই হারার স্পোর্টিং ক্লাব মাঠে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচ সিরিজের বাকি দুটি হবে যথাক্রমে ৩১ জুলাই ও ০২ আগস্ট। জিম্বাবুয়ের একই মাঠে অনুষ্ঠিত এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।
এনএস//