ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টাইগারদের ভড়কে দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিশাল স্কোর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫১, ৩০ জুলাই ২০২২

সিকান্দার রাজা

সিকান্দার রাজা

নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার আশ্বাস দেখিয়েই জিম্বাবুয়েতে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। সেই নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেটের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি টাইগারদের।

শনিবার হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশি বোলারদের এলোমেলো বোলিং এবং ফিল্ডারদের হাত ফসকানো ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করেছে স্বাগতিকরা।

এদিন অধিনায়কত্বের অভিষেকে টসে হেরে যান সোহান। বোলিং পায় বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ে নেমে টাইগার অধিনায়ক সোহান যেন শুরু করে দেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রথম পাঁচ ওভারে পাঁচজন বোলার দিয়ে বোলিং করান সোহান। যার মধ্যে সফল ছিলেন একমাত্র মুস্তাফিজই।

নিজের প্রথম ওভারে এসে জিম্বাবুইয়ান ওপেনার রেগিস চাকাভাকে ৮ রানে নাজমুল হোসাইন শান্তর ক্যাচে পরিণত করে ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ রান যোগ করেন ক্রেইগ এরভিন ও ওয়েসলি মাধেভেরে।

পাওয়ার-প্লের পর প্রথম বলে এরভিনকে ২১ রানে বোল্ড করে ফেরান মোসাদ্দেক। উইকেট পাওয়া বলগুলো ছাড়া এদিন বোলিংয়ে যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলাররাও। লাইন-লেন্থ সবকিছু গুলিয়ে জগাখিচুড়ি পাকাতে থাকেন তারা।

জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের রানের ফোয়ারা ছোটানোর জন্য তাদের চাহিদামতোই বোলিং করতে থাকেন তাসকিন, শরীফুল, নাসুম এমনকি মুস্তাফিজও। টাইগার বোলারদের এলোমেলো বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বেশ দুর্বলতা দেখা যায়। এক চান্সে বল ধরতেই যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন ফিল্ডাররা।

প্রতিপক্ষ বোলার-ফিল্ডারদের এমন সহায়তা পেয়ে মারমুখী হয়ে খেলতে থাকেন রোডেশিয়ানরা। চারে নেমে ১৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করেন উইলিয়ামস। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সিকান্দার রাজার সঙ্গে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মাধেভেরে। যেখানে রাজা ছিলেন বেশি আক্রমণাত্মক। ২৩ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার মারে ৬৫ রান করে।

কম যাননি তিনে নামা মাধেভেরেও। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৪৬ বলে খেলেন ৯টি চারের মারে ৬৭ রানের ইনিংস। ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ইকোনমিকাল ছিলেন একমাত্র আফিফ হোসাইন। তবে ১ ওভারে ৬ রান দেয়ার পর আর বোলিংই পাননি এই স্পিনার।

আরেক ডানহাতি স্পিনার ৩ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট পেলেও বোলিং কোটা পূরণের সুযোগ পাননি তিনিও। তিন পেসার এদিন দেদারসে রান বিলিয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন অভিজ্ঞ মুস্তাফিজই। ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

এছাড়া তাসকিন ৪ ওভারে ৪২ এবং শরিফুল ৪ ওভারে ৪৫ রান দিলেও কোনও উইকেট পাননি তারা। উইকেটশূন্য থাকা নাসুমও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৮ রান।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি