দুর্দান্ত জিম্বাবুয়েতে ধরাশায়ী টাইগাররা
প্রকাশিত : ২০:৪০, ২ আগস্ট ২০২২
টাইগার চার স্পিনার নাসুম-মাহেদী-সৈকত-রিয়াদের ঘূর্ণিতে ১০ম ওভারেই পাঁচ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত বার্ল-জংওয়ের তান্ডুবে ইনিংসে চড়ে ১৫৩ রানের চ্যালঞ্জিং স্কোরই গড়ে। জবাব দিতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে ৯৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ হেরে গেল ১০ রানে।
সেইসঙ্গে জিম্বাবুয়ের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারল মোসাদ্দেক হোসাইন সৈকতের দল।
১৫৪ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো করার ইঙ্গিত দিলেও দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন ওপেনার লিটন দাস। তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ পাওয়া পেসার নিয়াউচির বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৩ রান। যাতে ওই ১৩ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর একে একে আউট হন মুনিমের বদলি হিসেবে নামা ইমনও। মাত্র ২ রান করে সেই নিয়াউচির শিকার হন তিনিও। ব্যর্থ হন বিজয়ও। মাধেভেরের স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন ১৩ বলে ১৪ করে। ফলে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দল।
পরে শান্ত ২০ বলে ১৬ করে আউট হলে ক্রিজে এসে রিয়াদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ৩০ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যেই এগিয়ে নিচ্ছিলেন। তবে এ সময়েই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ১৫তম ওভারে পরপর দুই বলে রিয়াদ ও সৈকত ফিরলে যেন ফিকে হয়ে যায় জয়ের স্বপ্ন।
তবে মাহেদীকে সঙ্গী করে ফিকে হওয়া স্বপ্নকেই রঙিন করে তোলার চেষ্টা চালান আফিফ হোসাইন। যতটা না আফিফ তার চেয়ে মাহেদীর চেষ্টাটাই বেশি ছিল। শেষ ১০ বলে জয়ের জন্য যখন ২৪ রান প্রয়োজন, ঠিক তখনই বিগ হিট করতে গিয়ে সীমানায় রাজার দারুণ এক ক্যাচের শিকার হন মাহেদী।
ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২ চার ও এক ছয়ে ১৭ বলে ২২ রান। আর এর সঙ্গেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের নিভুনিভু আলোটাও। কারণ, এক প্রান্তে আফিফ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও শেষ ৯টি বল থেকে আদায় করতে পারেননি কোনো বাউন্ডারি।
ফলে দুই উইকেট হাতে থাকলেও ১০ রানের পরাজয়ের সঙ্গে সিরিজও হারতে হয় টাইগারদের। ২৭ বল খেলা আফিফ অপরাজিত থাকেন তিন চারের সাহায্যে ৩৯ রান নিয়ে।
ব্যাটে বলে ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করা জিম্বাবুয়ের হয়ে এদিন ২৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ভিক্টর নিয়াউচিই। এছাড়া ব্রাড ইভান্স ২৬ রানে ২টি উইকেট পান। তবে ম্যাচ সেরা হন রায়ান বার্ল এবং সিরিজ সেরা হন দুর্দান্ত কয়েকটি ক্যাচ নেয়া এবং দুই ফিফটিতে ১২৭ রান করা সিকান্দার রাজা।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রায়ান বার্ল। ৭ নাম্বারে নামা এই ব্যাটারের ২৮ বলের এই বিস্ফোরক ইনিংসে ছিল ছয়টি ছক্কার সঙ্গে ২টি চারের মার।
আর জংওয়ের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান। তার ২০ বলের এই ক্যামিও ইনিংসে ছিল দুইটি ছয়ের সঙ্গে চারটি চারের মার।
মূলত এই দুজনের মাত্র ৩১ বলে গড়া ৭৯ রানের তান্ডুবে জুটিতেই ওই চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ে। কেননা, এই দুজন ছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে অধিনায়ক এরভিনের ব্যাট থেকে।
টাইগার বোলারদের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও মাহেদি হাসান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এনএস//