রাতারাতি কোন কিছুই সম্ভব নয় : সাকিব
প্রকাশিত : ১৯:১১, ২০ আগস্ট ২০২২
টেস্টের মত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরমেন্স যাচ্ছেতাই। আসন্ন এয়িয়া কাপ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার লক্ষ্য বাংলাদেশের। তাই এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে পরিবর্তন চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
যে কারণেই টেস্টের মত টি-টোয়েন্টির দলের দায়িত্বটাও সাকিব আল হাসানের কাঁধে তুলে দেয়া হয়েছে। এমনকি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নতুন টেকিনক্যাল পরামর্শক হিসেবে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামকেও নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
কিন্তু সাকিব মনে করেন, ২-১ দিনে সব পাল্টে যাবে না। এমন ভাবাটা হবে বোকার রাজ্যে বাস করার সমান।
শনিবার ঢাকায় ডিবিএল সিরামিকের এক অনুষ্ঠানে আসন্ন এশিয়া কাপে দলের লক্ষ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাকিব বলেন, ‘‘দেখুন, আমার কাছে কোন লক্ষ্য নেই। আমার লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বকাপে গিয়ে যেন ভালো কিছু করতে পারি। যদি আমি মনে করি, এখনই একদিন-দুইদিনে কিছু পরিবর্তন করে ফেলব বা অন্য কেউ এসে পরিবর্তন করে দিতে পারবে, তেমনটা ভাবা হবে আসলে বোকার রাজ্যে বসবাস করা।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বাস্তবিক চিন্তা করা হয়, তাহলে তিন মাস পর আমরা যখন বিশ্বকাপ খেলবো, তখন যদি উন্নতি দেখতে পারেন ঐটাই আসলে আমাদের আসল উন্নতি।’’
আরও যোগ করে সাকিব বলেন, ‘‘এই টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে কতটুকু আসবে বলা মুশকিল, অল্প সময়। আমি যেটা বললাম, সবার দায়িত্ব আছে। কোচিং স্টাফ, বিসিবি, মানুষ, আপনারা, সবাই যদি আমরা একসাথে কাজ করতে পারি, তাহলে আমার মনে হয় একটা নতুন পথচলা শুরু হবে।’’
২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর এখন অবধি ১৩১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ৪৫টি জয় ও ৮৩টি হার আছে টাইগারদের। বড় কোন সাফল্য নেই তাদের। তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনালে খেললেও, রানার্স-আপ হতে হয় টাইগারদের।
তাই এই অবস্থায় নতুন করে শুরু করা ছাড়া কোন উপায় নেই বললেন সাকিব, ‘‘দেখুন এমন একটা সংস্করণ যেখানে আমরা, বোধহয় প্রথম ২০০৬ সালে খেলি। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খুব বেশি একটা ভালো ফল নেই, শুধু এশিয়া কাপে ফাইনাল বাদে। সে জায়গা থেকে এই সংস্করণে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তাই আমাদের নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই।’’
নতুন টেকিনক্যাল পরামর্শক শ্রীরামের নিয়োগ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করার আছে এখানে। যেহেতু সে অস্ট্রেলিয়ান দলের সাথে পাঁচ-ছয় বছর ছিল, আর আমাদের বিশ্বকাপটাও সেখানে, তার অভিজ্ঞতাটা আমাদের কাজে আসবে।’’
এর আগেও, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন সাকিব। তার অধীনে ২১ ম্যাচে ৭ জয় ও ১৪টি হারের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। এশিয়া কাপ দিয়ে আবারও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরু হবে সাকিবের।
অধিনায়কত্ব নিয়ে সাকিব বলেন, ‘‘দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সবসময়ই গর্বের বিষয়। আমি খুবই আনন্দিত, রোমাঞ্চিত এবং নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য, আমি মনে করি প্রস্তত।’’
২৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপ। ৩০ আগস্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু করবে সর্বশেষ দুই আসরের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশ।
এমএম/