শতকের দ্বারপ্রান্তে সাকিব আল হাসান
প্রকাশিত : ১৮:১৩, ২৯ আগস্ট ২০২২
সাকিব আল হাসান
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেই শততম টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন বিরাট কোহলি। এবার বিশ্বের ১৫তম ও বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ খেলার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
চলমান এশিয়া কাপে মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামলেই টি-টোয়েন্টিতে শততম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন সাকিব।
সাকিবের আগে সংক্ষিপ্ত ভার্সনে বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ১শ ম্যাচ খেলেছেন দুই সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার রেকর্ড মাহমুদুল্লাহর দখলে। ২০০৭ সালে অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ১১৯টি ম্যাচ খেলেছেন রিয়াদ।
আর ২০০৬ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিক গত মার্চে ঘরের মাঠে এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেন।
এদিকে, ২০০৬ সালের নভেম্বরে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় সাকিবের। ২০১৬ বিশ্বকাপে ভারতের ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচটি খেলেছিলেন তিনি।
এখন পর্যন্ত ৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯৮ ইনিংসে ১০টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২ হাজার ১০ রান করেছেন টাইগার অলরাউন্ডার। তার ব্যাটিং গড় ২৩.১০ গড় এবং স্ট্রাইক রেট ১২০.৮৬। টি-টোয়েন্টি সাকিবের সর্বোচ্চ ইনিংস ৮৪ রানের। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৫৪ বলে ৮৪ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন সাকিব।
এই ফরম্যাটে বল হাতেও প্রতিপক্ষের বড় মাথা ব্যথার কারণ সাকিব আল হাসান। যা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। বিশ্ব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের মালিক যে তিনিই। ১২১টি উইকেট শিকার রয়েছে সাকিবের ঝুলিতে। ইনিংসে পাঁচবার চার উইকেট ও একবার পাঁচ উইকেট নেয়ার কৃতিত্বও দেখান টাইগার অধিনায়ক।
২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২০ রানে ওই ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। এই ফরম্যাটে এটাই তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার।
টি-টোয়েন্টিতে ২১টি ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেছেন সাকিব। সেখানে জয় ৭টি এবং পরাজয় ১৪টিতে। এবার পালা জয়ের পাল্লা ভারী করার।
এনএস//