তিন বছরের খরা কাটালেন কোহলি, শতক তিন ফরম্যাটেই
প্রকাশিত : ২১:৫২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
৬১ বলে ক্যারিয়ার সেরা ১২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে বিরাট
অবশেষে শতরান ধরা দিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭১তম শতরান পেলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষেই। সেইসঙ্গে এবারের এশিয়া কাপের প্রথম শতকও এলো ভারত সুপারস্টারের হাত ধরেই।
এশিয়া কাপের শুরু থেকেই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। চেনা মেজাজে পাওয়া না গেলেও রান আসছিল প্রাক্তন এই অধিনায়কের উইলোতে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩৫ রান করার পরের দুই ম্যাচেই তুলে নেন টানা ফিফটি (৫৯* ও ৬০)। তারই ধারাবাহিকতায় চলে এলো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোহলির প্রথম শতরান, যা তার ক্যারিয়ারের ৭১তম।
যদিও সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাক মারেন এই ব্যাটার। তবে আফগানিস্তান ম্যাচে সুদে আসলে সেটা পুষিয়ে নিলেন ভারতীয় ওপেনার। এর ফলে দীর্ঘ ১০২০ দিন পর শতরান ধরা দিল কোহলির ব্যাটে।
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টে শতরান পেয়েছিলেন বিরাট। তারপর থেকেই তার ব্যাটে আর ধরা দেয়নি শতরান। অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম হয়েছে ক্রমশ। ক্রিকেটপ্রেমীরা চাতক পাখির মতো চেয়ে থেকেছেন কোহলির দিকে। কিন্তু বার বার হতাশ হতে হয়েছে তাদের।
বৃহস্পতিবার আফগানদের বিপক্ষে হাঁকানো কোহলির এই শতরান একরাশ স্বস্তিই যেন নিয়ে এলো ক্রিকেট বিশ্বে।
রোহিতের অনুপস্থিতে এ দিন ওপেনে নেমে শুরুতে কিছুটা ধরে খেলার চেষ্টা করেন কোহলি। ব্যাটে-বলে ঠিক মতো সংযোগ হতেই হাত খুলে আফগান বোলারদের শাসন করতে শুরু করেন। সেই পথেই শতরান এলো ৫৩ বলে। ছক্কাতেই এলো বহু কাঙ্খিত শতরান।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১২২ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে। তার ৬১ বলের এই বিস্ফোরক ইনিংসে ছিলো এক ডজন চারের সঙ্গে হাফ ডজন ছয়ের মার।
আর বিরাটের ৭১তম শতকের দিনে ভারতের স্কোরও ছাড়াল দুইশ রানের গণ্ডি। মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ গিয়ে ঠেকে ২১২-তে। কোহলি ছাড়াও এদিন ফিফটি পেয়েছেন আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল।
এ দুজনের ওপেনিং জুটিতেই ১৩তম ওভারে ভারত তোলে ১১৯ রান। এসময় ৪১ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছয়ের মারে ৬১ করে আউট হন রাহুল। রাহুল-কোহলির রান বন্যার দিনে অবশ্য ব্যর্থ হন মারকুটে যাদব। ফেরেন মাত্র ৬ রান করে। তবে ১৬ বলে ২০ করে বিরাটের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন পন্ট।
ভারতের দুটি উইকেটই নেন পেসার ফরিদ আহমেদ। আরও পেতে পারতেন, যদি না আফগান ফিল্ডাররা এদিন ক্যাচ মিচের মহড়া না দিতেন। বেশ কয়েকটি সহজ ক্যাচ মিস করেন তারা।
এনএস//