ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মিলারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতেও রক্ষা পেল না দক্ষিণ আফ্রিকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৮, ৩ অক্টোবর ২০২২

অনবদ্য শতকের পর মিলারের এই উদযাপন অবশ্য শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়

অনবদ্য শতকের পর মিলারের এই উদযাপন অবশ্য শেষ পর্যন্ত ম্লান হয়

অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে পারলেন না ডেভিড মিলার। কিলার খ্যাত এই ব্যাটারের ঝোড়ো শতককে বৃথা করে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো ভারত।

রোববার (২ অক্টোবর) রাতে তিন ম্যাচ সিরিজের হাই-স্কোরিং দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬ রানে হারিয়েছে ভারত। ফলে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল ভারত। 

গোহাটিতে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২৩৭ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ভারত। জবাবে ২২১ রানে থামে প্রোটিয়ারা। দু’দলই ৩টি করে উইকেট হারায়। মিলার ৪৭ বলে অনবদ্য ১০৬ রান করেন।

এ নিয়ে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ৯টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজের মধ্যে ৮টিতেই জিতলো ভারত। ১টি ড্র হয়।

সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্যে এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলেন লোকেশ রাহুল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৯ ওভার শেষে ভারতের রান গিয়ে দাঁড়ায় ৯৪-তে। ১০ম ওভারে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার কেশব মহারাজ। ৩৭ বলে ৪৩ রান করা রোহিতকে শিকার করেন তিনি। ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন রোহিত।

রোহিত না পারলেও, ২৪ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২০তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন রাহুল। হাফ-সেঞ্চুরির পর মহারাজের দ্বিতীয় শিকার হন মারকুটে এই ব্যাটার। ২৮ বল খেলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৭ রান করেন রাহুল।

দলীয় ১০৭ রানে ভারতের দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদব। স্কোর বোর্ডে মাত্র ৪২ বলে ১০২ রান যোগ করেন এ জুটি। ১৮ বলে নবম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান সূর্য। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ৬১ রান করেন সূর্য।

শেষদিকে ৭ বল খেলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ১৭ রান তোলেন দিনেশ কার্তিক। অপরপ্রান্তে ২৮ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলি। তার এই ইনিংসে ছিলো ৭টি চার ও ১টি ছক্কার মার। ফলে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩৭ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। 

এদিন নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার মহারাজ ২৩ রানে ২ উইকেট নেন।

২৩৮ রানের বিশাল ওই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ও রাইলি রুশোকে খালি হাতে বিদায় দেন ভারতের বাঁ-হাতি পেসার আর্শদীপ সিং। শুরুর ধাক্কা সামাল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। ২৯ বলে ৪৬ রান যোগ করেন তারা। ১৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হন মার্করাম।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মহাচাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে লড়াইয়ে ফেরান ডি কক ও ডেভিড মিলার। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন তারা। ভারতীয় বোলারদের তুলোধুনো করে ছাড়েন ডি কক ও মিলার। ১৬তম ওভারেই দলের রান দেড়শতে নিয়ে যান দুজনে। ২৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন মিলার। ৩৮ বলে অর্ধশতকের দেখা পান ডি কক।

তারপরও শেষ চার ওভারে ৮২ রানের দরকার পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। আর শেষ ওভারে জিততে ৩৭ রান প্রয়োজন ছিলো প্রোটিয়াদের।

অক্সার প্যাটেলের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান মিলার। এজন্য ৪৬ বল খেলতে হয় তাকে। আর শেষ বলে ছক্কা মারেন ডি কক। তবুও শেষ ওভারে ২০ রানের বেশি তুলতে পারেননি তারা, ফলে ম্যাচটি হারতে হয় প্রোটিয়াদের। 

২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২২১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যা ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় রান প্রোটিয়াদের। চতুর্থ উইকেটে মিলার-ডি ককের ৮৪ বলে ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন দুর্দান্ত জুটিটি বৃথা যায়। তবে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়ে দলটি।

৪৭ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডি কক। ভারতের আর্শদীপ ৬২ রানে ২ উইকেট নেন।

আগামী ৪ অক্টোবর সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি