শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে
প্রকাশিত : ২০:৫৩, ২৭ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ২০:৫৭, ২৭ অক্টোবর ২০২২
৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা রাজার উদযাপন
শক্তির বিচারে এখনকার জিম্বাবুয়ের চেয়ে কয়েকগুণ এগিয়ে পাকিস্তান দল। তবে পার্থে অনুষ্ঠিত দুই দলের ম্যাচটি যারা উপভোগ করেছেন, নিঃসন্দেহে একতরফার কোনো ছিটেফোটাও পাননি! পাকিস্তানের চোখে চোখ রেখে সমানে লড়েছে জিম্বাবুয়ে। শুধু তা-ই নয়, শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ বলে গিয়ে ১ রানে জিতেছে রোডেশীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পার্থে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কী-ই না ছিলো! জিম্বাবুয়ের ১৩০ রানের স্বল্প পুঁজি, এরপর পেস তোপে পাকিস্তানের ধুঁকতে থাকা। শেষ দিকে টান টান উত্তেজনা, শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়া- এ সবই করে দেখালো রাজা-আরভিনরা।
পাকিস্তানের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন শান মাসুদ। তবে ২৫ রান দিয়ে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সিকান্দার রাজাই।
১৩১ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই এদিন জিম্বাবুয়ের পেস তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। দলীয় ১৩ রানে বাবর আজম, ২৩ রানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ৩৬ রানে ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা।
এ অবস্থায় ইনিংস ধরে খেলতে থাকেন শান মাসুদ। তার সঙ্গে শাদাব খান গড়েন ৫২ রানের জুটি। শাদাব বিদায় নেন সিকান্দার রাজার বলে ক্যাচ দিয়ে। শাদাব করেন ১৭ রান। একই ওভারের পরের বলে রাজা শিকার করেন হায়দার আলির উইকেটও।
অ্যাঙ্করিং করতে থাকা শান মাসুদ ফিরে যান সেই রাজার বলেই। ৩৮ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর হারের শঙ্কা জেঁকে বসে পাকিস্তান শিবিরে। নওয়াজ আউট হন ২২ রানে। জিম্বাবুয়ের হয়ে ২৫ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন রাজা, ব্রাড ইভান্স নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পান ব্লেসিং মুজারাবানি ও লুক জংওয়ে।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার ইঙ্গিত দেয় জিম্বাবুয়ে। তার ফলও পায় তারা। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই দলীয় রান চল্লিশ ছাড়িয়ে যায়। তবে হারিস রউফের করা ওই ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। তার আগে দুই বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন তিনি।
এরপরই মূলত ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে জিম্বাবুয়ের। পরের ওভারেই ফেরেন আরেক ওপেনার ওয়েসলি মাধভেরে (১৭)। এই দুই উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে রান তোলার গতি কিছুটা কমে যায়। তবুও একা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন সাবেক অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। দলের পক্ষে এদিন ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৩১ রান আসে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকেই।
দলীয় ৯৫ রানে চতুর্থ উইকেট পতনের পর পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে ওই রানেই মুহূর্তেই ৭ম উইকেট নেই হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের। যার ফলে মনে হচ্ছিল অল্পতেই অলআউট হয়ে যাবে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শেষদিকে ব্রাড ইভান্সের ১৯ ও রায়ান বার্লের অপরাজিত ১০ রানে দলটির ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৩০ রানে।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে এদিন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ২৪ রানে ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া স্পিনার শাদাব খান ৩টি ও হারিস রউফ নেন ১টি উইকেট।
এনএস//