ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

জিম্বাবুয়েকে ১৫১ লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৭, ৩০ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১০:৫৩, ৩০ অক্টোবর ২০২২

আফিফের ব্যাটে দেড়শ ছুঁতে পারল বাংলাদেশ

আফিফের ব্যাটে দেড়শ ছুঁতে পারল বাংলাদেশ

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেও সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশ দল। তবে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দলটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গড়েছে ১৫০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

রোববার গাব্বায় আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার-প্লেতেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ১০ ওভারে তুলতে পারে ৬৩ রান। পরের পাঁচ ওভারে যোগ করে আরও ৪০ রান, একটি উইকেট হারিয়ে। আর শেষ পাঁচ ওভারে ৪টি উইকেট হারিয়ে নিতে পারে মাত্র ৪৭টি রান।

এদিন টস জিতে সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ওপেন করতে নামেন নাজমুল হোসাইন শান্ত। বোলিং শুরু করেন রিচার্ড নগারাভা। চতুর্থ বলে চার মেরে প্রথম ওভার থেকে ৫টি রান নিতে পারেন শান্ত।

তবে দ্বিতীয় অভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভার করতে আসা মুজারাবানির বলে চাকাভার দাস্তানায় ধরা পড়েন সৌম্য সরকার। ২ বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তার আগেই অবশ্য আরও এক চার মেরে সিঙ্গেল নেন শান্ত।

ফলে দলীয় মাত্র ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস। তিনি মাঠে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন। শুরুটা দুর্দান্ত করলেও তা স্থায়ী করতে পারেননি বেশিক্ষণ। ষষ্ঠ ওভারেই সেই মুজারাবানির শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকেও।

১২ বলে তিন চারে ১৪ রানেই শেষ হয় লিটনের ইনিংস। ফলে ৩২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আজ পাওয়ার প্লে-তে ওই স্কোরই দাঁড় করাতে পারে দল। পরে সাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম ১০ ওভারে ৬৩ রান জড়ো করতে পারেন শান্ত।

তবে ৪৪ বলে ৫৪ রানের এই জুটি ভাঙে শন উইলিয়ামসের বলে মারতে গিয়ে সাকিবের বিদায়ে। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা স্কোর করে ফিফটির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে টানা ৩টি বল ডট দিয়ে পরের বলে সিঙ্গেল নিলে চাপ বাড়ে সাকিবের ওপর। যার ফলে বিগ শটে যান তিনি এবং এতেই ভুল করে বসেন।

ব্যাটের উপরের কানায় লেগে উপরে উঠে গেলে ডিপ মিড-উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুজারাবানি। যাতে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২০ বলে ২৩ করে ফেরেন অধিনায়ক।

সাকিব ফিরলেও এদিন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। ৫৪ বলে ৭১ রানের ইনিংসে খেলে আউট হন রাজার বলে। তার ক্যারিয়ার সেরা এই ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছয়ের মার।

শান্ত আউট হলে অন্যদের ব্যর্থতায় শেষ দিকে অনেক চেষ্টা করেও তেমন রান তুলতে পারেননি আফিফ হোসাইন। নাটকীয় শেষ ওভারে তো তিনটি উইকেট হারায় সাকিবের দল। যাতে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। 

এসময়ে মোসাদ্দেক ১০ বলে ৭, সোহান ১ বলে ১ রান করে আউট হন বোকার মতো। আফিফও আউট হন শেষ বলে। তার আগে ১৯ বলে করেন ২৯ রান। মূলত এই বাঁহাতি ব্যাটারের কল্যাণেই দেড়শ ছুঁতে পারে টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করা এনগারাভা ও মুজারাবানি নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট পান সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি