বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যা আছে: আকরাম
প্রকাশিত : ২২:০১, ৭ নভেম্বর ২০২২
তাসকিন-সোহান ও ওয়াসিম আকরাম
অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারের জন্য দলের ক্রিকেটারই দায়ী বলে মনে করেন সাবেক কিংবদন্তী ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরাম।
এমনকি বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানি লিজেন্ড বলেন, বাংলাদেশ দলের কোচ বা অধিনায়ক হলে তিনি খেলোয়াড়দের মনোবিদ দেখাতেন।
সাবেক এই বাঁহাতি পেসার বলেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের উচিত ছিল পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সাবধানে খেলা।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে দৌঁড়ে ছিলো বাংলাদেশ। সেমিতে উঠতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে সহজ সমীকরণ ছিলো- পাকিস্তানকে হারানো। পাকিস্তানকে হারালেই প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠতো টাইগাররা। কিন্তু সেমিতে খেলার সুযোগ হেলায় হারায় সাকিব-সোহানরা।
প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলেছিলো বাংলাদেশ। ১১তম ওভার থেকেই যাওয়া-আসার মিছিল শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের। যার ফলে পরের ১০ ওভারে ৭টি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রান তুলতে পারে দল।
এরমধ্যে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বির্তকিত আউটটাও ছিলো। যাইহোক, ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আর ১২৮ রানের ওই টার্গেট ১১ বল হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। দেশটির পেসার শাহিন আফ্রিদি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন ২২ রানে ৪ উইকেট নেন।
পাকিস্তানের কাছে এমন হারের সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলকে হারের জন্য তাদের নিজেদেরকেই দায় নিতে হবে, তাদের তা নেয়াও উচিত। আমি যদি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বা কোচ হতাম, তাহলে আমি দলের সবাইকে মনোবিদ দেখানো নিশ্চিত করতাম।’
ওয়াসিম আকরাম আরও বলেন, ‘কারণ একপর্যায়ে ৫৪ রানে ছিলেন শান্ত এবং তখন সবকিছু ভালোই ছিল। ২ উইকেটে ৭৩ রান করে তারা ভালো অবস্থানেই ছিলো। কিন্তু তারপর ইফতিখারের বলে একটি অদ্ভুত শট খেলে বোল্ড হন শান্ত। তারা যদি সিঙ্গেল নিয়েও খেলতো, তবুও স্কোরটা ১৫৫ হতো।’
এছাড়া ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বড় ক্ষতি করেছেন পেসার শাহিন আফ্রিদি। ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২টি ও ১৯তম ওভারে ৭ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন আফ্রিদি। এতে শেষদিকে বেশি রান পায়নি বাংলাদেশ।
ওয়াসিমের মতে, আফ্রিদির ১৭তম ওভারে আক্রমণাত্মক নয়, স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা উচিত ছিলো ব্যাটারদের।
পাকিস্তানি লিজেন্ড বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি যখন দেখবেন এক ওভারের জন্য অধিনায়ক কোনও বিশেষ বোলারকে নিয়ে আসে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে সে উইকেট নিতে এসেছে। দলের মূল বোলারের বিপক্ষে আপনি তখন শট খেলবেন না, সেই ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলবেন। কিন্তু তারা কিনা সেই আফ্রিদিকেই মেরে খেলার মন স্থির করলো!’
এনএস//