জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠল বিশ্বকাপের
প্রকাশিত : ২১:৫৩, ২০ নভেম্বর ২০২২
অপেক্ষা ফুরালো, পর্দা উঠল দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ তথা ফুটবল বিশ্বকাপের। জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে দোহার আল বায়াত স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেওয়া হলো ঐক্য ও সাম্যের বার্তা। ফুটবলই যে দুনিয়াকে এক করতে পারে, বার বার বলা হলো সেই কথাটাও।
মাঠে খেলার গড়ানোর আগেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ, বিয়ার বিতর্কসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা-সমলোচনা শুরু হয় কাতার বিশ্বকাপ ঘিরে। তবে সেসব অভিযোগে ভুলিয়ে দিতেই পর্দা উঠলো কাতার বিশ্বকাপের। সবকিছু ছাপিয়ে এখন ফুটবল উৎসবে মেতে থাকবে বিশ্ব। পারস্য উপসাগরের তীরে বিশ্বকাপের মহারণে সামিল হবে সবাই। আগামী এক মাস বিশ্বের শতকোটি চোখ থাকবে কাতারে।
দোহার আল বায়েত স্টেডিয়ামে উদ্বোধীন অনুষ্ঠানে ছিলেন অর্ধলক্ষাধিক দর্শক। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রথা মেনে শুরুতে বিশ্বকাপের ট্রফি মাঠে আনা হয়।
অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির হন ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ও কাতারের শাসক শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
এরপরই শুরু হয় সংগীতের তালে তালে কাতারের স্থানীয় সংস্কৃতিক সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা। অনুষ্ঠানপর্ব শুরু হয় মর্গান ফ্রিম্যানের উপস্থাপনায়। মঞ্চে হাজির হয় কাতার বিশ্বকাপের ম্যাসকট লাইব।
এরপর শুরু হয় প্রফেশনাল ড্যান্সার ও স্বেচ্ছাসেবকদের পারফরম্যান্স।
বিশ্বকাপের গান ড্রিমার্স নিয়ে মঞ্চে আসেন বিটিএস-এর গায়ক জুং কুক। সঙ্গে ছিলেন কাতারি গায়ক ফাহাদ আল কুবাসি। যে গানের অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘দেখো আমরা কারা, আমরা স্বপ্ন দেখার সারথী; আমরা এটি সত্যি করবো, কারণ আমরা বিশ্বাস করি’।
জিং কুকের গান শেষে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন কাতারের আমির শেখ হামিম বিন হামাদ আল থানি। ঐক্য ও সাম্যের বার্তা দিয়ে সবাইকে স্বাগত ও শুভ কামনা জানিয়ে ভাষণ শেষ করেন তিনি।
এর মধ্যে দিয়েই শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের। পর্দা ওঠে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর। পুরো অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়েছে আল বায়াত স্টেডিয়াম। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ৬০ হাজার দর্শক।
এনএস//