বিশ্বকাপ ইতিহাসে যত অঘটন
প্রকাশিত : ১৪:৩৩, ২৩ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৪:৪০, ২৩ নভেম্বর ২০২২
শতবছরের ফুটবল ইতিহাসে বহু ধাক্কা খেয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিভিন্ন সময়ে বহু শক্ত দলের অপ্রত্যাশিত হার আর অবিশ্বাস্যভাবে দুর্বল দলের জয় দেখেছে বিশ্ব। ফুটবলের এমনকিছু অপ্রত্যাশিত ম্যাচের তালিকায় সবশেষ যোগ হয়েছে এবারের কাতার বিশ্বকাপে সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হার। চলুন জেনে নেই আগের সব বড় অঘটনগুলো-
১৯৫০ বিশ্বকাপ
১৯৫০ সালে ইংল্যান্ড হেরে যায় আমেরিকার কাছে। টানা সাতটি ম্যাচ হেরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল আমেরিকা। সেই সাতটি ম্যাচে আমেরিকা ৪৫টি গোল খেয়েছিল আর দিয়েছিল মাত্র দু’টি। তাই ইংল্যান্ডের ফুটবলাররাও সহজভাবে নিয়েছিল প্রতিপক্ষকে। সেই বিশ্বকাপে ওই একটা ম্যাচই জিতেছিল আমেরিকা। এ থেকে বোঝাই যায়, কতটা অঘটন ছিল সেই ম্যাচ।
বিশ্বকাপ ১৯৬৬
১৯৬৬ সালে কোরিয়ার কাছে হেরেছিল ইতালি। ম্যাচটি এমন ছিল যে, কোনো দলই ভুলতে পারবে না পাক ডু ইক নামটা। ৪২ মিনিটের মাথায় গোল করেন কোরিয়ার পাক ডু। বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম বড় অঘটন এই ম্যাচ। শক্তিশালী ইতালির বিরুদ্ধে এশিয়ার কোনও দল জয় তুলে নেবে, তা অবিশ্বাস্য ছিল সে সময়।
১৯৭৪ বিশ্বকাপ
১৯৭৪ সালে পূর্ব জার্মানির কাছে হারে পশ্চিম জার্মানি। অথচ শেষ পর্যন্ত কাপ জিতেছিল পশ্চিম জার্মানিই। পুরো টুর্নামেন্টে ওই একটি ম্যাচের হারই ইতিহাসে কাঁটা হয়ে রইল পশ্চিম জার্মানির কাছে।
বিশ্বকাপ ১৯৮২
১৯৮২ সালের দু’টি ম্যাচকে অঘটন হিসাবে ধরা হয়। প্রথমটি অবশ্যই আলজেরিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিম জার্মানির হার। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমে জার্মানিকে হারিয়ে দেবে আলজেরিয়া, তা কেউ ভাবতেই পারেনি।
একই বছর নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড হারিয়ে দিয়েছিল স্পেনকে। শেষ ৩০ মিনিট ১০ জনে খেলেছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু তাতেও পেরে ওঠেনি স্পেন।
১৯৯০ বিশ্বকাপ
১৯৯০ সালে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ০-১ গোলে হেরেছিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। তবে সে বছর শেষ পর্যন্ত ফাইনালে উঠেছিল দলটি। যেকারণেই নীল-সাদা সমর্থকেরা এই বিশ্বকাপের প্রধম ধাক্কার পরেও দমে যাননি।
১৯৯৪ বিশ্বকাপ
এই বিশ্বকাপে বুলগেরিয়া হারিয়ে দিয়েছিল জার্মানিকে। ১-২ গোলে হেরে যায় তারা। লোথার ম্যাথুসের দল পেনাল্টিতে গোল পেয়েছিল। সেই গোল শোধ করে জয়ের গোল করে বুলগেরিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে সেই ম্যাচ হেরে বিদায় নেয় জার্মানি।
বিশ্বকাপ ১৯৯৮
৯৮ এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল নরওয়ে। সেই বিশ্বকাপে সেটি ছিল স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের দ্বিতীয় জয় এবং সেটিই এ পর্যন্ত শেষ জয়। এরপর থেকে প্রতিটি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনেই ব্যর্থ হয়েছে তারা।
২০০২ বিশ্বকাপ
২০০২ সালের বিশ্বকাপে দু’টি ম্যাচকে অঘটন হিসাবে ধরা হয়। একটি হল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই সেনেগালের কাছে ফ্রান্সের হার। অথচ তারে আগের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ছিল দেশটি।
দ্বিতীয়টা হল ঘরের মাঠে ইতালিকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল কোরিয়া। সেই বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছিল ইতালি।
২০১৪ বিশ্বকাপ
২০১৪ বিশ্বকাপে তিনজন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নের সমন্বিত গ্রুপে অনেকটা র্যা ঙ্ক বহিরাগত হিসাবেই দেখা হয়েছিল কোস্টারিকাকে। তবে সব হিসেব উল্টে উদ্বোধনী ম্যাচে উরুগুয়েকে হারায় দলটি। আর দ্বিতীয় ম্যাচে হারায় ইতালিকে।
কাতার বিশ্বকাপ
কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ধাক্কার শিকার আর্জেন্টিনা। ট্রফি জয়ের আশায় থাকা আর্জেন্টিনাকে প্রথম ম্যাচেই ২-১ গোলে হারায় সৌদি আরব। ম্যাচ শেষে মেসি নিজেও স্বীকার করেছেন, এটি একটি বড় ধাক্কা এবং কষ্টদায়ক হার। পরবর্তী ম্যাচগুলোকে আর হালকাভাবে নেওয়া হবেনা বলেও জানান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
জয়ের পর সৌদি আরব দল
এসবি/