ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কী ‘পরিণতি’ অপেক্ষা করছে ইরানি ফুটবলারদের?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১০, ৩০ নভেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত গাননি ইরানের ফুটবলাররা। সেজন্য দেশে ফেরার পর দেশটির ফুটবলাররা ‘ভয়ানক পরিণতি’র মুখোমুখি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেলে যেতে হতে পারে জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়া ইরানি ফুটবলারদের।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হারের ফলে ইতোমধ্যেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ইরানের। এই ম্যাচে জয় পেলে অবশ্য শেষ ষোলোতে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের। তবে হেরেই বিদায় নিয়েছে তারা। ম্যাচের আগে ইরানের ফুটবলারদের ওপর বাড়তি চাপ ছিল বলে জানা গেছে। 

জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ায় তাদের পাশাপাশি ফুটবলারদের পরিবারের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ আসছিল বলে জানানো হয়েছে। এসব বাড়তি চাপ নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন ইরানের ফুটবলারা। সেই চাপ সামলেই খেলতে হয়েছে তাদের। মানসিকভাবে ফিট না থাকায় তার প্রভাব পড়েছে মাঠের পারফরম্যান্সে।

এরপরও দলের খেলোয়াড়রা যে ধরনের পারফরম্যান্স করেছেন তাতে সন্তুষ্ট দলের কোচ কার্লোস কুইরোজ। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই ছেলেদের ওপর নানান ধরনের চাপ আসছিল। তারা সেই চাপ মাথায় নিয়েই নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছে। প্রথম ম্যাচে তাদের জাতীয় সঙ্গীত না গাওয়ার বিষয়ে ইরানের ভক্তরাও একমত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

গত ২১ নভেম্বর খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো শুরু হলেও নীরব ছিলেন ১১ জন খেলোয়াড়ের সবাই। এমন কাণ্ডের পর দেশে ফিরে গেলে জেলে যেতে পারে তাদের।  

নৈতিক পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনি নামের এক যুবতীর মৃত্যুর কারণে ইরানেজুড়ে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের সমর্থনের অংশ হিসেবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া থেকে বিরত থাকেন ইরানি ফুটবলাররা। 

ইরানের বিচার বিভাগের মুখপাত্র মাসুদ সেতায়েশি মাত্র কয়েকদিন আগে বলেন, যারা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া থেকে বিরত থাকবেন, তাদের শাস্তি দেয়া যেতে পারে। 

রাজনৈতিক ভিন্নমত ইরানে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতে থাকা বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে ২১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া বিক্ষোভে ১৫ হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থাগুলোও জানিয়েছে, মাত্র দশ দিন আগে এক ইরানি ধর্মগুরু নামাজের সময় অ্যাথলেটদের উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, যারা জাতীয় সঙ্গীতের অসম্মান করবে, তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি