এমবাপ্পে জাদুতে সমতায় ফ্রান্স, অতিরিক্ত সময়ে ফাইনাল
প্রকাশিত : ২৩:১৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথমার্ধে খুঁজেও পাওয়া যায়নি তাকে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও সেই একই অবস্থা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে ৩৬ বছর পর দেখছিল বিশ্বজয়ের স্বপ্ন। স্বপ্ন দেখছিলেন লিওনেল মেসিও।
কিন্তু বোতলবন্দী কিলিয়ান এমবাপ্পে যেন গ্রিক রূপকথার মতো ঠিক ছাই থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠলেন।
৭৯ মিনিট পর্যন্ত যাকে অসহায় মনে হচ্ছিল। সেই তিনিই দুই মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে বদলে দিলেন ফাইনালের চিত্রনাট্য। যাতে ম্যাচে ফিরল ফ্রান্স।
ফাইনাল যেন একেই বলে! লুসাইল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর ২-২ গোলের সমতা থাকায় খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।
আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি আগেই বলেছিলেন, ফ্রান্সকে আটকানোর পরিস্কার পরিকল্পনা আছে তার। কথার সঙ্গে কাজের একদম হুবহু মিল দেখিয়েছেন তিনি শুরুর দিকে। রেফারি বাঁশি বাজানোর পর থেকেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের চেপে ধরে আলবিসেলেস্তেরা।
২১তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে হুলিয়ান আলভারেজের পাওয়া বল বক্স থেকে শট নিতে যাচ্ছিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। কিন্তু সেই মুহূর্তে তাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন উসমান দেম্বেলে। সঙ্গে সঙ্গেই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে সহজেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মেসি।
শুধু তা-ই নয়, একমাত্র ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের এক আসরে গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলো, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়েন তিনি। তাছাড়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২৬ ম্যাচ খেলার রেকর্ডও গড়েন মেসি।
এরপর ৩৬তম মিনিটে উপমেকানোর ভুলে নিজেদের অর্ধে বল পান মেসি। দারুণ দক্ষতায় ম্যাক আলিস্টারকে বল বাড়ান তিনি। টেনে নিয়ে বক্সে আলিস্টার খুঁজে নেন মারিয়াকে। দারুণ এক শটে লরিসকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ড।
ব্যবধান দ্বিগুণ করে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতির আগেই আক্রমণভাগে দুই পরিবর্তন আনেন ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ের দেশম। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এমবাপ্পেও সেভাবে বিপদ সৃষ্টি করতে পারেননি।
যাকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না, সেই তিনিই কিনা ম্যাচের শেষদিকে এসে করলেন জোড়া গোল! প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমালেন। এক মিনিট পরেই জোড়া গোল পূর্ণ করলেন এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। আর তাতেই সমতায় ফিরে খেলাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে গেলো ফরাসিরা।
এনএস//