ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ৭ উইকেট নেই ভারতের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১০:৪১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট জিততে বাংলাদেশের প্লট তৈরি হয়েছিল শনিবারই। মাত্র ৩৭ রানে তারা তুলে নিয়েছিল ভারতের ৪ উইকেট। চতুর্থ দিন সকালেও একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে দারুণ ভাবেই চেপে ধরতে সক্ষম হয়েছে সাকিব বাহিনী।

চতুর্থ দিনের শুরুতেই ভারতের ব্যাটার জয়দেব উনাদকাটকে ফেরালেন সাকিব। এর পর মিরাজ ভেলকি শুরু পরপর দুই ওভারে ঋষভ পান্ট ও অক্ষর প্যাটেলকে বিদায় করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় সাকিব বাহিনী।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪৫ রানের লক্ষ্যে নামা ভারতীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯৩ রান। ভারতের এখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫২ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩ উইকেট।

 

দিনের প্রথম ওভারেই মিলতে পারত উইকেট। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান উনাদকাট।

মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে স্পিন করে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন সাকিব আল হাসান।

বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, স্টাম্পে স্পর্শ ছিল আম্পায়ার্স কল। লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে যেত বল। বেঁচে যান ব্যাটসম্যান, টিকে যায় রিভিউ।

তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ২৩১ রানে অলআউট হলে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে ১৪৫ রানের। ভারত ৪ উইকেটে ৪৫ রানে দিন শেষ করে। আজ চতুর্থ দিনে সেটি নিয়েই দারুণ লড়াই করছে বাংলাদেশ। জাগিয়েছে অভাবনীয় এক জয়ের আশা। 

ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসেই ৮৭ রানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকালে দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত আর জাকির হাসান। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৭ রান তুলে দিন শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের শুরুতেই বড় বিপদে পড়ে টাইগাররা। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন শান্ত। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের দারুণ এক ডেলিভারি মুমিনুলের ব্যাট ছুঁয়ে চলে গেছে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্তের হাতে। মুমিনুলও করেন ৫। সাকিব ৩৬ বলে ১৩ করে আউট হন।

মুশফিকুর রহিমও দলের হাল ধরতে পারেননি। ৯ রান করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন অক্ষর প্যাটেলের স্পিনে। ৪ উইকেটে ৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। এরপর টানা দ্বিতীয় টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস বেরিয়ে আসে জাকির হাসানের ব্যাট থেকে। তবে ফিফটি পূরণ করার পরই যেন দায়িত্বটা ভুলে গেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। উমেশ যাদবের যে ডেলিভারিটি চাইলেই ছেড়ে দিতে পারতেন জাকির, সেটি বাতাসে ভাসিয়ে খেলে দিলেন বাউন্ডারির দিকে। ডিপ থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ নিলেন সিরাজ। ১৩৫ বলে জাকিরের ৫১ রানের ধৈর্যশীল ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি।

এছাড়া ঋষভ পন্ত আর শ্রেয়াস আইয়ারের ১৬৫ রানের এক জুটিতে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংসে থামে ৩১৪ রানে। পান্ত ৯৩ আর আইয়ার করেন ৮৭ রান। মুমিনুল হকের ৮৪ রানে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২২৭।

এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি